WBCHSE-Class 11 Books: স্কুল শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে। কিন্তু এখনও মেলেনি পাঠ্য বই। পিডিএফ ফাইলের উপর নির্ভর করেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। যদিও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দাবি, অধিকাংশ স্কুলেই ওই দুটি বই পৌঁছে গিয়েছে। বাকি জায়গাতেও শীঘ্রই পৌঁছে যাবে।
রাজ্যের স্কুলগুলিতে পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে একাদশ শ্রেণির ক্লাস। তবে অভিযোগ, এখনও অধিকাংশ স্কুলেই ভাষা ভিত্তিক বাংলা ও ইংরেজি বই পৌঁছোয়নি। এই বইগুলি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে স্কুলে স্কুলে বিনামূল্যে দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের। বই এখনও হাতে না পেয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ভীষণভাবে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে পড়ুয়াদের। কোনও উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে পিডিএফ ফাইল খুলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা করাচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটি নীলমণিকর বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা চরিত্রা দাশগুপ্ত। তিনিও জানিয়েছেন, যে তাঁদের স্কুলেও এখনও সরকারি ইংরেজি ও বাংলা বই এসে পৌঁছোয়নি। অনেক প্রকাশনা সংস্থা ইংরেজি ও বাংলা বই ছাপলেও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে তাঁদের স্কুলে বই এসে পৌঁছোয়নি।
কলা, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য শাখার নতুন পাঠ্যক্রমের বই ইতিমধ্যেই বাজারে এসে গিয়েছে। সেগুলো কিনেও নিয়েছেন পড়ুয়ারা। তবে ভাষা ভিত্তিক বাংলা এবং ইংরেজি বই যেহেতু উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে বিনামূল্যে দেওয়া হয়, তাই এক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের হাত বাঁধা।
আরও পড়ুন- Mango: আম কেনায় ঠকার দিন শেষ! বাম্পার কায়দায় চিনুন ফলের জাত, এলাকা, চাষীর পরিচয়
এ প্রসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, রাজ্যের ৯৪ থেকে ৯৬ শতাংশের বেশি বাংলা এবং ইংরেজি বই পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন জেলায়। শিক্ষা দফতরের সার্কেল স্তর পর্যন্ত বই পৌঁছে গিয়েছে। সেখান থেকে স্কুলগুলিকে বই সংগ্রহ করতে হবে। তবে তাঁরা আশাবাদী যে অল্প দিনের মধ্যেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীর হাতে ওই বইগুলি পৌঁছে যাবে।
আরও পড়ুন- Motivational News: নতুন সুযোগে বদলেছে জীবনের মানে, ‘ব্রাত্য’দের নিয়েই গড়ে উঠেছে এই ‘স্পেশ্যাল’ ক্যাফে