ভাষার জ্ঞান সবসময় থাকা উচিত। আর কথায় বলে, বাংলা ভাষার মিষ্টতাই তাঁর পরিচয়। হয়তো এই কারণেই, যত সুন্দর ভাবে এর প্রকাশ ঘটানো সম্ভব ততই এটি সকলের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। অন্তত, উচ্চ মাধ্যমিকের খাতায় ভাল ভাষা দিয়ে উত্তর না লিখলেই খুব মুশকিল বলে দাবি করছেন গড়িয়া হরিমতি হাই স্কুলের বাংলা শিক্ষিকা চিত্রালী দত্ত।
কেমন প্রশ্ন আসবে এবার?
বাংলা তো, ঘুরিয়ে আর কি আসবে? সবথেকে ভাল হয় যদি বইটা ভাল করে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়। এছাড়া, উত্তর তো ওদের তৈরি। নিশ্চই সাজেশন বই পড়েছে। সেখান থেকেই একটু এদিক ওদিক করে প্রশ্ন আসবে, বাকি আর কি বদলাবে। তাঁর সঙ্গে নিজের ভাষা জ্ঞান থাকলেও কেল্লাফতে!
কোন কোন বিষয়ে একটু নজর দিলে ভাল হয়?
- কবিতা, গল্প, নাটক সেগুলো তো যেমন প্রশ্ন উত্তর তৈরি করেছে সেগুলো দেখবেই। তবে, এর ভাবতত্ব গুলো একটু নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়া দরকার। তাঁর কারণ, একটু ঘুরিয়ে প্রশ্ন দিলেই যেন ভয় না পেয়ে যায়।
- দ্বিতীয়, ব্যকরণের ক্ষেত্রে অর্থাৎ যেটা ভাষা চ্যাপ্টার সেটা, এখানে কিন্তু ছাঁকা ৩৩ নম্বর আছে। এটা ভুল করলে চলবে না। তত্বগুলো ভাল করে দেখে যেতে হবে। বিশেষ করে বাংলা বাক্যের পদক্রম, বিশ্লেষণ এগুলো ঠিকঠাক করলেই নম্বর। তাই ভুল করলে চলবে না। এখান থেকে যদি ৩০ পাওয়া যায় অনেকটাই উঠে থাকবে।
- তৃতীয়, কবিতার লাইন ধরে ধরে অর্থ এবং ভাবার্থ বুঝে নেওয়া। লাইন তুলে প্রশ্ন হলে নইলে সমস্যা হতে পারে।
- চতুর্থ, প্রবন্ধ ১০ নম্বর থাকে। এতে পক্ষে বিপক্ষে যুক্তিটা অভ্যাস করলে ভাল। মোট কথা যাতে নম্বর আসবে।
- পঞ্চম, প্রকল্প রচনা যাতে ২০ নম্বর আছে। এতে একটু খেয়াল রাখতে হবে যে অনেক ধরনের বিষয় আছে। আমি মনে করি যেগুলো একটু অন্য ধরনের সেগুলো করলেই ভাল। নাট্যরূপ, চিত্রনাট্য এগুলো করলে ভাল। খুব চেনা যদি জীবনী নির্মাণের ব্যক্তিত্ব থাকে সেটি ধরা যেতে পারে।
খাতায় উত্তর কিরকম লিখলে ভাল হয়?
অযথা বাড়িয়ে লাভ নেই, যেটুকু চাওয়া হয়েছে সেটুকুই করলেই ভাল। বেশি বড় উত্তর অন্তত উচ্চ মাধ্যমিকে লাগে না। তাই, তিনটে প্যারা উত্তর লিখলেই ভাল।
শুরুতেই ব্যাকরণ করে বসলে খুব ঝামেলা। উত্তর পরপর হলেই ভাল। কিন্তু যদি করতেই হয় তাহলে ঠিক করে নম্বর দিয়ে করা ভাল।
প্রকল্প এবং প্রবন্ধের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট স্ট্রাকচার জেনে তারপরই উত্তর লেখা উচিত। গঠন না জেনে করলে খুব মুশকিল।