২৫,০০০ ছাত্রকে নিয়েই মুম্বইয়ে শুরু 'মিশন অ্যাডমিশন'। করোনা মহামারীর কারণে দেশে পড়ুয়ারা পড়াশোনার অধিকার হারিয়েছে, অনেকেই কাজের সূত্রে অন্য জায়গায় পাড়ি দিয়েছেন। সেইসব ছেলেমেয়েদের নিয়েই শুরু হচ্ছে মিশন অ্যাডমিশন। এমনই বিহারের এক বাসিন্দা অমরেশ দাস, নিজের ছেলেকে এই প্রকল্পের অংশ হতে দেখেই আবেগতাড়িত।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরেই মুম্বইয়ে কাজের উদ্দেশ্যে যান তিনি। যথারীতি ছেলের পড়াশোনা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহে ছিলেন। মুম্বইয়ের স্কুলে ফ্রি-তে পড়াশোনা যেন একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি বলেন, "আমি মুজফফরপুরের এক গ্রামের বাসিন্দা। হিন্দি মিডিয়াম এক প্রাইমারি স্কুলের দূরত্ব সেখান থেকে ১৫ কিমি, সেখানেই পড়ত আমার ছেলে। আপাতত বেশ নিশ্চিন্ত, মুম্বইয়ে বাড়ির কাছের এক স্কুলেই বিনামূল্যে পড়াশোনা করতে পারবে ও"। কান্ডিভালির গণেশ নগর মুম্বই পাবলিক স্কুলেই ভর্তি হয়েছে সে।
শুধু তাই নয়, এমন ২৫০০০ আরও ছেলেমেয়েও মুম্বইয়ের নানা স্কুলে ভর্তি হয়েছেন। মিশন অ্যাডমিশনের এই বিভাগে, আটটি ভাষায় শিক্ষা প্রদান করা হবে। এমনকি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও, এই বিষয়ে যথেষ্ট তৎপরতা গ্রহণ করেছেন। অনেক অভিভাবকরাই ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করার দিকে নজর দিচ্ছিলেন না। তাদের ভাল করে বুঝিয়ে সুঝিয়ে এবং সম্পূর্ন বিনামূল্যে যে এই ক্ষেত্রে পড়াশোনা করানো হবে, সেটি আশ্বস্ত করা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিকা প্রীতি গাওয়াই বললেন, এই ঘটনার পরেই অনেকে খুশি খুশি তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করেছে।
আগামীতে অনেক স্কুলই এই ক্যাম্পেইন শুরু করতে চান। করোনা মহামারীর কারণে, অনেকেই নিজেদের স্কুল ফি মকুব করতে পারেননি। যেই কারণে শিক্ষা ব্যাবস্থায় যথেষ্ট ছেদ পরেছিল। অভিভাবকরা প্রাইভেট স্কুল থেকে সাধারণ মিউনিসিপ্যাল স্কুলেও স্থানাতরিত করতে চেয়েছেন ছেলেমেয়েদের, তবে এই পরিকল্পনায় তাঁরা যথেষ্ট খুশি।