রাজ্যপালকে বয়কটের ডাক দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। আগামী ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। কিন্তু ছাত্র ছাত্রীরা রাজ্যপালের হাত থেকে পুরস্কার নিতে চায় না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া তথা এসএফআই ছাত্র সংগঠনের সদস্য দেবরাজ দেবনাথ বলেন, "গত কয়েকমাসে রাজ্যপালের বিভিন্ন কার্যক্রমে এটা স্পষ্ট যে তিনি লাগাতার বিজেপি- আরএসএস-এর দালালি করে ফ্যাসিবাদের একনিষ্ঠ প্রচারকের ভূমিকা পালন করে আসছেন। তাই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কাছে আমাদের আহ্বান যে একসঙ্গে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানাব ও জগদীশ ধনকড়কে বয়কট করব। এদিন কালো পতাকা ও কালো ব্যাজ পরে আমরা আওয়াজ তুলব সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে, আওয়াজ তুলব দেশজুড়ে চলা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং জগদীশ ধনকড়দের বিরুদ্ধে"।
আরও পড়ুন:সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে আমরণ অনশন
যাদবপুরের এফএএস-এর হিমন বলেন, "এখনও কনভোকেশন বয়কট করার মতো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কিন্তু যাদবপুরের অনেক ছাত্র ছাত্রীরা জানিয়েছেন যে তাঁরা বয়কট করতেই চায়। রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কথা বলছেন। একটা রাজ্যপালের কর্ম নয়। তাই একাংশের ছাত্র ছাত্রীরা সমাবর্তনে রাজ্যপালকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন"।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ সিটুডেন্ট ডঃ রজিত রায় বলেন, "ছেলে মেয়েরা যা সিদ্ধান্ত নেবে সেখানে আমাদের কোনো মতামত নেই"।
আরও পড়ুন:অর্থের অভাবে ‘হোঁচট’ আইআইটি ও আইআইএসসি-র, বরাদ্দ খরচ হয়নি বলে দাবি সরকারের
এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র তরফে উপাচার্যর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই বিষয়ে তাঁর তরফে কোনো মতামত পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক পার্থবাবু বলেন," পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আমরা কানভোকেশনে রাজ্যপালের অনুষ্ঠানটি বাতিল করার ভাবনাচিন্তা করছি। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মূলত, ডিলিট ও গোল্ড মেডেল দিয়ে থাকেন রাজ্যপাল। বাকি পুরস্কার অধ্যাপক ও উপাচার্যর হাত থেকেই নেয় ছাত্রছাত্রীরা। রাজ্যপাল না থাকলে, উপাচার্য ও অধ্যাপকদের হাত দিয়েই পুরস্কার ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হবে"।