প্রায় দুই যুগের অবসান। অধ্যাপনা থেকে বিদায় নিলেন ব্রাত্য বসু। অধ্যাপক হিসেবে অনেকদিন যুক্ত ছিলেন, তবে আর সময় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই দীর্ঘ ২৫ বছরের সম্পর্কে ইতি টানলেন ব্রাত্য।
সিটি কলেজের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। অধ্যাপনা, পড়ুয়াদের সঙ্গে নিদারুণ ভাব। কিন্তু তাদেরকে সময় দিতে পারছিলেন না শিক্ষামন্ত্রী। চাকরি বহাল থাকলেও, কলেজে হাজিরা দিতে পারতেন না। তাই এবার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন তিনি। এখন থেকে অধ্যাপনা আর করবেন না। বরং রাজনীতির ময়দান আর নাট্য-সিনেদুনিয়ায় বেশিরভাগ সময় থাকবেন। শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। ২০১১ সালের পর থেকে সেইভাবে কলেজে যেতেও পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন < বেশিরভাগ ক্লাসই হয় ইংরাজিতে, যাদবপুর ছেড়েছেন অনেক পড়ুয়াই, এখন কী অবস্থা? >
ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, গতবছর মন্ত্রী হওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। নাটক, রাজনীতি মিলিয়ে খুবই ব্যস্ত তিনি। কলেজে যাওয়াও হয় না। তাই, স্বেচ্ছাবসর নেওয়াই চূড়ান্ত ছিল। ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, যদি তিনি এইপদ থেকে সরে যান তবে সেখানে নিয়োগ হবে, এবং যে অধ্যাপক আসবেন তিনি পড়ুয়াদের আরও বেশি সময় দিতে পারবেন, এতে ছাত্রদেরই মঙ্গল।
বুধবার সিটি কলেজে তার অবসর গ্রহণ উপলক্ষে ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেই অতীতের নানা স্মৃতি উল্লেখ করেন তিনি। ১৯৯৬ সালে অধ্যাপক হিসেবে শুরু, আর ২০২২ - এ শিক্ষামন্ত্রী হয়েও অধ্যাপনা থেকে বিদায় নিলেন সিটি কলেজের বাংলার অধ্যাপক।