কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের শুরুতে রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুয়ারা। তাদের দাবি রাজ্যপালকে ফিরে যেতে হবে। অনুষ্ঠান মঞ্চে পৌঁছানোর আগেই রাজ্যপালের গাড়ি ঘিরে 'গো ব্যাক' স্লোগান দিতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বিক্ষোভের মাঝে 'নজরুল মঞ্চে' প্রবেশ করতে পারলেও মঞ্চে উঠতে পারেননি। অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যেতে হয় রাজ্যপালকে। কাজেই, নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ধনকড়ের হাত থেকে ডিলিট নিতে পারেন না। অবশেষে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী ব্যানার্জির হাত থেকে ডিলিট পান অভিজিৎ বিনায়ক।
সমাবর্তন শুরু হওয়ার আগে ছাত্রছাত্রীরা রাজ্যপালের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। একইসঙ্গে সমাবর্তন অনুষ্ঠান মঞ্চের সমানেও পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।একাধিকবার উপাচার্য সোনালি বন্দোপাধ্যায়ের হাতে মাইক নিয়ে পড়ুয়াদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন। তাতেও কোনো লাভ হয়না। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে, যে উপাচার্যকে ঘোষণা করেন, " তোমরা শান্ত হও, রাজ্যপাল থাকছেন না সমাবর্তনে, আমি ডিলিট তুলে দেব অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে, অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত"। শেষপর্যন্ত রাজ্যপাল নজরুল মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যান। এরপরই শিথিল হয় পরিস্থিতি। আচার্য ছাড়াই শুরু হয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান।
সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই সিএএ- বিরোধীতা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। যথা সময় শুরু করা যায়নি সমাবর্তন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। বিভিন্ন মহল থেকে এর আগে আমন্ত্রন পত্র নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছিল। আমন্ত্রিত ও ডিলিট প্রাপক কারও নাম নেই সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্রে।
এদিন জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান সহ একাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। তাঁরা অনেকেই জানিয়েছেন, এই প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যা ঘটছে তা একেবারেই কাম্য নয়। আবার অনেকেই, ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন।
ফিরে গিয়ে ডি-লিট প্রাপ্তিতে রাজ্যপাল টুইট করে জানান, প্রথা মেনে উপাচার্য আমার অনুমতী নিয়েই সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু করেছেন। আমি নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিলিটের মানপত্র সই করেছি। তাঁর বিনম্র আচরণ, গভীরতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং উন্নত সংস্কৃতির সঙ্গে কোনো মূল্যে আপোস করা উচিত হবে না।