CBSE এর পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত ফেইজ আহমেদ ফেইজের উর্দু অনুবাদের দুটি কবিতা বাদ দিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন কর্তৃপক্ষ। বিগত কয়েক বছর ধরে, পড়ুয়ারা ফেইজ আহমেদের গণতান্ত্রিক রাজনীতি বিভাগের সাম্প্রদায়িকতা, রাজনীতি এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র সম্পর্কিত অনুবাদিত অংশগুলি পড়ে আসছে। হঠাৎই ২০২২-২৩ সালের পাঠ্যক্রমে এই দুটি কবিতা সহ বাদ পড়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
পাঠ্যক্রমের নথি অনুয়ায়ী, দশম শ্রেণির সামাজিক বিজ্ঞানে তালিকাভুক্ত ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা এবং রাজনীতি বিষয়ক বিভাগ এই কোর্সের অন্তর্ভুক্ত থাকবে ৪৬,৪৮,৪৯ পাতার ছবি বাদ দিয়ে। যতদূর জানা যাচ্ছে এই পাতায় কয়েকটি পোস্টার কিংবা চিত্র রয়েছে, তার মধ্যে ফেইজ আহমেদের বেশ কিছু উদ্ধৃতি রয়েছে। দুটি পোস্টার এবং কার্টুন এই পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সম্পর্কে কোনও বিশেষ কারণ cbse এর তরফ থেকে পাওয়া যায়নি।
একটি ওয়েব পোর্টাল অনুসারে যে কবিতাটির থেকে এই অংশ নেওয়া হয়েছিল সেটি ফেইজ সেইসময় রচনা করেছিলেন যখন তাঁকে লাহোরের কারাগারে শিকল পরিয়ে তাঁর পরিচিত গলি দিয়ে একটি দাঁতের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। দ্বিতীয় পোস্টার অনুযায়ী, ফেইজের কবিতার উদ্বৃতি সহ ভারতের স্বেচ্ছাসেবী এবং স্বাস্থ্য সমিতির কথাই উল্লেখ করা হয়েছিল। ফেইজ এই কবিতাটি লিখেছিলেন ১৯৭৪ সালে ঢাকায় আসার পর। তৃতীয় অজিথ নিনানের কার্টুন বলছে, একটি খালি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার। যেটির ধর্মনিরপেক্ষতা এবং নানান চড়াই উতরাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।
২০০৫ সালের জাতীয় পাঠ্যক্রম কাঠামো সংশোধনের পর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক হরি বাসুদেবনের সভাপতিত্বে এই পাঠ্যপুস্তক তৈরি করা হয়। এছাড়াও বই থেকে গণতন্ত্র এবং বৈচিত্রের অধ্যায়গুলিও বাদ দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত বিষয়গুলি দেশের নানা অংশের সঙ্গে পরিচয় করায়। জাতি বর্ণ নির্বিশেষে ভারত-সহ সামাজিক বিভাজন এবং অসমতার ধারণা তুলে ধরে। ফলেই ছাত্রদের সেই সম্পর্কে জানা দরকার, এই ভেবেই নির্ধারিত করা হয়েছিল সিলেবাস।
বইয়ের ভেতরের কার্টুন, গ্রাফিক্স অনেক কিছুই চিত্রিত করে। বিস্তৃত রাজনৈতিক কোলাজ, পোস্টার নিয়েই তৈরি এই বই। শুধুই বই দেখতে নয়, বরং এর আসল অর্থ বুঝতে হবে। এছাড়াও একাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম থেকে 'সেন্ট্রাল ইসলামিক ল্যান্ডস' এর অধ্যায় বাদ দেওয়া হয়েছে। সামাজিক বিজ্ঞানের বিভাগে 'কৃষিতে বিশ্বায়নের প্রভাব' এটিও বাদ দেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানে 'ঠান্ডা যুদ্ধের যুগ' এবং 'জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন' বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে গাণিতিক বিভাগের- 'যৌগিক ফাংশন' থেকে 'ত্রিকোণমিতি ফাংশন' অনেক কিছুই।