Advertisment

CBSE: পাঠ্যে ব্যাপক অদলবদল! দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির জন্য বিশেষ পরিকল্পনা

Education: প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো স্কুল শিক্ষায় একটি জাতীয় কাঠামো বাস্তবায়নের উদ্যোগ। যার লক্ষ্য হল বৃত্তিমূলক এবং সাধারণ শিক্ষার মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠা করা, দুটি শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে গতিশীলতা সহজতর করা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
CBSE, Indian Language,

CBSE-Indian Language: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের পর্যালোচনা করা একটি বিশদ পরিকল্পনা অনুসারে, প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো স্কুল শিক্ষায় একটি জাতীয় কাঠামো বাস্তবায়ন করতে চলেছে। এটা, CBSE-এর বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ। ( ছবি-এক্সপ্রেস)

The Central Board of Secondary Education: সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য শিক্ষা কাঠামোতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে। যার মধ্যে ১০ম শ্রেণিতে দুটি ভাষা অধ্যয়ন থেকে তিনটিতে স্থানান্তর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে দুটি অবশ্যই ভারতীয় স্থানীয় ভাষা হতে হবে। শুধু তাই নয়, দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের এখন পাস করতে গেলে কমপক্ষে ১০টি বিষয়ে পাস করতে হবে। এতদিন স্রেফ পাঁচটি বিষয়ে পাস করলেই দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারত পড়ুয়ারা।

Advertisment
  • দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি, উভয় স্তরেই পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
  • বহুবিভাগীয় এবং বৃত্তিমূলক কোর্স যুক্ত হতে চলেছে।
  • আগের চেয়ে বেশিসংখ্যক বিষয় পাশ করতে হবে।

ক্লাস ১২-এর জন্যও পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে
একইভাবে, ক্লাস ১২-এর জন্যও পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেখানে, ছাত্ররা একটির পরিবর্তে দুটি ভাষা অধ্যয়ন করবে। এই শর্তে যে কমপক্ষে একটি ভাষা অবশ্যই স্থানীয় ভারতীয় ভাষা হতে হবে। সামগ্রিকভাবে, হাই স্কুল থেকে স্নাতক হতে পড়ুয়াদের এখন থেকে পাঁচটির পরিবর্তে ছয়টি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস গোটা বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করেছে। যা থেকে স্পষ্ট যে, প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো স্কুল শিক্ষায় একটি জাতীয় কাঠামো বাস্তবায়নের উদ্যোগ। যার লক্ষ্য হল বৃত্তিমূলক এবং সাধারণ শিক্ষার মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠা করা, দুটি শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে গতিশীলতা সহজতর করা। যেমনটা, জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ প্রস্তাব করেছে।

চালু স্কুল পাঠ্যক্রমে কোনও আনুষ্ঠানিক ক্রেডিট সিস্টেম নেই
বর্তমানে, চালু স্কুল পাঠ্যক্রমে কোনও আনুষ্ঠানিক ক্রেডিট সিস্টেম নেই। সিবিএসইর পরিকল্পনা অনুসারে, একটি শিক্ষাবর্ষ ১২০০টি ধারণামূলক শেখার ঘণ্টা নিয়ে গঠিত হবে। যাতে ৪০টি ক্রেডিট থাকবে। ন্যাশনাল লার্নিং বলতে বোঝায়, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সময়। যা গড়ে একজন শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ফলাফল অর্জনের জন্য ব্যয় করে। অন্য কথায়, প্রতিটি বিষয়ের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক ঘণ্টা বরাদ্দ করা হয়েছে। যাতে এক বছরে একজন শিক্ষার্থী পাস করতে মোট ১২০০ শেখার ঘণ্টা ব্যয় করবে। এর মধ্যে স্কুলে একাডেমিক শিক্ষা এবং স্কুলের বাইরে অ-একাডেমিক বা অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা উভয়ই অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ক্রেডিটের পাশাপাশি প্রাপ্ত নম্বরেরও উল্লেখ
অধ্যয়নের পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষাদানের সময় এবং প্রতিটি বিষয়ের জন্য অর্জিত ক্রেডিট উল্লেখ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একজন শিক্ষার্থীর অর্জিত ক্রেডিটগুলো ডিজিটাল কায়দায় 'একাডেমিক ব্যাংক অফ ক্রেডিট'-এ রাখা থাকবে। লিংক করা ডিজিটাল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তা অ্যাক্সেস করা যাবে। CBSE-এর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ক্রেডিটগুলোর পাশাপাশি পড়ুয়াদের প্রাপ্ত নম্বরেরও উল্লেখ থাকবে।

আরও পড়ুন- বাজেট কেমন, বিনা সাহায্যে বুঝতে চান? তাহলে এগুলোয় নজর রাখুন

বহুবিভাগীয় এবং বৃত্তিমূলক কোর্স যুক্ত হতে চলেছে
এই প্রস্তাব কার্যকর করার জন্য, বোর্ড বর্তমান বিষয়গুলোর তালিকায় বহুবিভাগীয় এবং বৃত্তিমূলক কোর্স যুক্ত করতে চলেছে। যার মাধ্যমে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় অধ্যয়ন করা বিষয়ের সংখ্যা বাড়বে। সুতরাং, দশম শ্রেণিতে যেখানে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের পাঁচটি বিষয় (দুটি ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞানের তিনটি প্রধান বিষয়) পাস করতে হয়, নতুন ব্যবস্থায় তাদের ১০টি বিষয় (তিনটি ভাষা এবং সাতটি প্রধান বিষয়) পাশ করতে হবে।

CBSE cbse class 10 results CBSE Board Exam
Advertisment