Advertisment

রাজ্যে অষ্টম শ্রেণীর লাইফ সায়েন্স সিলেবাসে এবার সাপ

থাকবে বিষাক্ত এবং নির্বিষ সাপ সংক্রান্ত বিশদ তথ্য, তাদের ল্যাটিন এবং প্রচলিত নাম, এবং নিজের আশেপাশের এলাকায় বা ঝোপঝাড়ে সাপ দেখতে পেলে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সে সম্পর্কে নির্দেশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
west bengal secondary education syllabus

প্রতীকী ছবি। অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস

আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যের অষ্টম শ্রেণীর লাইফ সায়েন্স সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে বিভিন্ন প্রজাতির সাপেদের নিয়ে একটি পরিচ্ছেদ। একথা জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। এর মূল উদ্দেশ্য হলো নানারকম সাপ সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা, যেমন সাপের সামনে পড়ে গেলে কী করা উচিত, জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় সাপেদের ভূমিকা, ইত্যাদি।

Advertisment

এই পরিচ্ছেদে থাকবে বিষাক্ত এবং নির্বিষ সাপ সংক্রান্ত বিশদ তথ্য, তাদের ল্যাটিন এবং প্রচলিত নাম, এবং নিজের আশেপাশের এলাকায় বা ঝোপঝাড়ে সাপ দেখতে পেলে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সে সম্পর্কে নির্দেশ। সোমবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে একথা জানান সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার। তিনি আরও জানিয়েছেন, সরকারের অধীনস্থ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাহায্য নিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে নতুন পাঠক্রমের একটি খসড়া।

অভিজিৎবাবুর বক্তব্য, "আমাদের মনে হয় সাপেদের নিয়ে একটি পরিচ্ছেদ চালু করলে ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকরাও বিভিন্ন ধরনের সাপ সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন, আমাদের জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় সাপেদের ভূমিকার কথা, এবং তাদের, বিশেষ করে বিষাক্ত সাপেদের মারা বন্ধ করতে প্রতিষেধক ব্যবস্থার কথাও জানানো হবে।"

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলি বলেন যে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জীব-বৈচিত্র্য এবং পরিবেশ রক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পর্ষদ সদাই আগ্রহী। "সিলেবাস কমিটির সাপ সংক্রান্ত পরিচ্ছেদ চালু করার সিদ্ধান্ত সেদিকে একটি পদক্ষেপ," বলেন কল্যাণময়বাবু।

মূলত বাংলার গ্রামাঞ্চলে আজও সাপের কামড়ে মারা যান বহু সংখ্যক মানুষ, এবং সাপ ধরার পর বন দফতরের হাতে তুলে না দিয়ে তাদের মেরে ফেলার একাধিক উদাহরণ দেখা গিয়েছে।

West Bengal
Advertisment