Advertisment

ক্যাবিনেট বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত, এবার রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মাথা হবেন মুখ্যমন্ত্রী

সূত্রের খবর, ওই বিলে রাজ্যপাল অনুমোদন না দিলে তা অর্ডিন্যান্স আকারে আনা হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
cm mamata banerjee chancellor state universitys cabinet approval

রাজ্যপালের সঙ্গে মন্ত্রিসভার সংঘাতের ইঙ্গিত।

রাজ্যপাল নন, রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মেই বৃহস্পতিবার ক্যাবিনেট বৈঠকে সিলমোহর পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য চেয়ে বিধানসভায় রাজ্য সরকারের পক্ষে বিলও আনা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ওই বিল পাসের পর তা আইনে পরিণত হবে।

Advertisment

সূত্রের খবর, ওই বিলে রাজ্যপাল অনুমোদন না দিলে তা অর্ডিন্যান্স আকারে আনা হবে। শিক্ষামন্ত্রী বার্ত্য বসু বলেছেন, 'মন্ত্রিসভা আজ সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে প্রথমে বিধানসভায় বিল পেশ হবে, পরে তা আইনে পরিণত করা হবে।'

২০১০ সালে পুঞ্চি কমিশন মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালেয়র আচার্য হিসাবে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল। সেই কমিশনের সদস্য ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পুঞ্চি কমিশনের সেই সুপারিশ মেনেই রাজ্য মন্ত্রিসভার এ দিনের সিদ্ধান্ত বলে নবান্নের তরফে বলা হয়েছে।

রাজ্যপাল-নবান্ন সংঘাত ছিলই। এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠক ও সেখানে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী দেখার বিষয়টি অনুমোদনের পর ওই সংঘাত নয়া মাত্রা পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কয়েক মাস আগেই রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন সরকার। সেই উদাহরণ দিয়েই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি তুলেছিলেন যে, রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আতার্যের চেয়ার থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়া যায় কি না তা ভাবা হোক। আইনে খতিয়ে দেখার কথা বলেছিলেন। যা এ দিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পেল।

মন্ত্রিসভার এ দিনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'তিনিই শিরু, তিনিই শেষ। তাঁর হাতেই সব। তিনি চেয়েছেন যখন সেটাই হবে। নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত। এরা পশ্চিমবঙ্গকে স্বাধীন অঙ্গরাজ্য ভাবতে শুরু করেছে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার কঙ্কালসার অবস্থা বেরিয়ে পড়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে চরম দুর্নীতি মানুষ বুধতে পারছেন। আজকের সিদ্ধান্ত সেদিক থেকে দৃষ্টি ফেরাতেই করা হয়েছে।' সিদ্ধান্ত 'দুর্ভাগ্যজনক' বলে মনে করেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন- ‘এবার পশ্চিমবঙ্গের প্রধানমন্ত্রী মমতা! বিন তুঘলকও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন’, কটাক্ষ অনুপমের

Mamata Banerjee West Bengal Chancellor university
Advertisment