লকডাউনে স্তব্ধ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ চরম ব্যহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জুলাই মাসের বদলে আরো দু'মাস পিছিয়ে, সেপ্টেম্বর থেকে নতুন কলেজ শিক্ষাবর্ষ চালুর সুপারিশ করল সরকার নিযুক্ত কমিটি।
করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১৬ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, ভর্তি, শিক্ষাবর্ষ সংক্রান্ত বিষয় নির্ধারণে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশন। শুক্রবার এই কমিটিই রিপোর্ট জনা দিয়েছে। সেখানেই শিক্ষাবর্ষ দু'মাস পিছিয়ে সেপ্টেম্বরে করার সুপারিশ পেশ করা হয়েছে। এছাড়াও বলা হয়েছে যে, শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে গেলে নির্ধারিত সময় জুলাইতে পরীক্ষা বা সেমিস্টার সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার সময়ও পিছিয়ে যাবে।
হরিয়ানা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আর সি কুহাদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশন নিযুক্ত এই কমিটির প্রধান। এছাড়াও ওই কমিটিতে রয়েছেন, এ সি পাণ্ডে (ডিরেক্টার- ইন্টার ইউনির্ভাসিটি অ্যাসিলিরেটর সেন্টার), আদিত্য শাস্ত্রী (উপাচারয- বনস্তালী বিদ্য়াপীঠ), রাজ কুমার (উপাচার্য-পাঞ্জাব ইউনির্ভাসিটি) সহ আরও তিন জন।
আরও পড়ুন: আগামী শিক্ষাবর্ষে পঠনপাঠন এবং পরীক্ষা হবে কী ভাবে? রাজ্য-কেন্দ্র মতবিরোধ
ইউজিসি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা এবং অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের গাইডলাইন তৈরি করবে। সূত্র খবর, সুপারিশ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি মানতে বাধ্য নয়, তবে কমিটির সুপারিশকৃত সময়েই শিক্ষাবর্ষ চালু ও পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টিকে আগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কমিটির সুপারিশ মানলে কেন্দ্রীয় সরকারকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি ও শিক্ষাবর্ষের সময় বদলের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে হবে।
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে বহু অনলাইন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এই সব প্রতিষ্ঠানে কবে পরীক্ষা হবে তা নির্ণয়ের জন্য ইউজিসি আরেকটি কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটির সুপারিশ, অনলাইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির এখনই পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা নেই। ইন্দিরা গান্ধী মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচর্য নাগেশ্বর রাও এই কমিটির প্রধান।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন