পশ্চিমবঙ্গে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় এখনই খুলছে না। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে বুধবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে শারীরিকভাবে পড়ুয়াদের উপস্থিতির মাধ্যমে পঠন-পাঠন বন্ধ থাকবে।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, সরস্বতী পুজোর আগে কলেজ খুলছে না। আপাতত ক্লাসও চলবে অনলাইনেই। মার্চে যে অড সেমেস্টার (প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম ইত্যাদি) পরীক্ষা আছে তা বাড়ি থেকেই দিতে পারবেন পড়ুয়ারা। তবে গবেষণারত পড়ুয়াদের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের অনুমতি দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।
জানা গিয়েছে, বৈঠকে স্থির হয়েছে হোস্টেলের দরজাও এখনই খুলছে না। হস্টেল খোলা মানে বাইরে থেকে অবাধে ছাত্র-ছাত্রীদের আসা যাওয়া। সেক্ষেত্রে সংক্রমণ হলে আশঙ্কা থেকে যায়।
করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুলে শারীরিকভাবে উপস্থিতির মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে পঠনপাঠন শুরুর চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিকভাবে উঁচু ক্লাস অর্থাৎ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে আসার ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের অনুমতি নিয়ে, সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্কুলে পঠনপাঠন হতে পারে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তবে স্কুলে এখনই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের শ্রেণিকক্ষে শারীরিকভাবে উপস্থিতির মাধ্যমে পঠনপাঠন শুরুর বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে না। পরে পরিস্থিতি অনুসারে ধাপে ধাপে এই বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ করবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের তরফে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থোলার বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল, কিন্তু সবার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আপাতত জুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন