করোনা পরিস্থিতিতে উচ্চশিক্ষার পরীক্ষা ও ক্লাসে তোলার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাকি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-র নির্দেশ মানা হবে, তা নিয়ে বেঁধে গিয়েছে দ্বন্দ্ব। পাশাপাশি রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রের মধ্যে আগামী শিক্ষাবর্ষ নিয়েও শুরু হয়েছে মতবিরোধ।
রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে, অষ্টম এবং একাদশ শ্রেণির সমস্ত শিক্ষার্থীকে পাস করিয়ে দেওয়া হবে এবং স্থগিত হওয়া উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার বাকি দুটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে জুন মাসে।
অন্যদিকে, ইউজিসি-র সচিব রজনীশ জৈন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা বিভাগকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার এবং পঠনপাঠন কীভাবে চলবে এবং পরীক্ষা কীভাবে হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করেছে ইউজিসি।
তিনি আরও বলেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি দেখে সকলেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে দেরি হবে। সমস্ত বিষয় বিবেচনা করার জন্য ইউজিসি কমিটি গঠন করেছে। কমিটি খুব শীঘ্রই তাদের রিপোর্ট জমা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জৈন বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শ করার পরে "যথাযথ গাইডলাইন জারি করবে ইউজিসি, যার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ এবং স্কুলগুলি"।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে রাজ্য শিক্ষা প্রশাসন, এবং রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, শিক্ষা-নির্ঘণ্ট নিয়ে এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ তারা।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের জন্য নতুন নয়। এই কেন্দ্রীয় সরকার কখনও রাজ্যগুলির ফেডারেল কাঠামো মানে নি।"
Read the full story in English