'ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা অনেকেই পড়াশুনার শেষে বেছে নিচ্ছেন ভিন্ন কোন চাকরি। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আইআইটি মাদ্রাজ-এর ডিরেক্টরভি কামাকোটি। তিনি বলেন, এমন প্রবণতা আজকাল ধীরে ধীরে বাড়ছে। এটা মেধার অপচয়। আইআইটি মাদ্রাজের ডিরেক্টর আরও বলেন, 'কোভিড -১৯ অতিমারীর প্রভাব এখনও ক্যাম্পাসে স্পষ্ট, দূরশিক্ষা শিক্ষার্থীদের মনোযোগকে হ্রাস করে এবং সেই সঙ্গে সহকর্মীদের মধ্যে সামাজিকতার অভাব তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করে।
আইআইটি মাদ্রাজের ডিরেক্টর ভি কামাকোটি বলেছেন, 'আরও বেশি সংখ্যক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া এখন 'নন-ইঞ্জিনিয়ারিং' ক্যারিয়ার পছন্দ করছেন। এটা "সম্পদের অপচয়"। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে, কামাকোটি বলেছেন, "বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন"। কারণ অনুসন্ধান করে, কামাকোটি বলেন, দুটি দিক আলাদা বেতন এবং কাজের পরিবেশ। “উচ্চ বেতন এবং বাড়ি থেকে আরামে কোন কাজ করা সেই সঙ্গে পরিবারকে সময় দেওয়া সুযোগগুলিকে আকর্ষণীয় করে তোলে। বিপরীতে, একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে, প্রখর তাপে সাইটে কাজ করেন। সেক্ষেত্রে তার, শারীরিক ধকল অনেক বেশি সেই তুলনায় বেতম কম।
পাশাপাশি অভিভাবকদের চাপের বিষয়ের ওপরও তিনি আলোক পাত করেন। কামাকোটি বলেন, 'আমার অনেক বন্ধু আইআইটি-তে যোগ দিয়েছে, কিন্তু আমি যাইনি কারণ আমি জেইই-এর জন্য প্রস্তুতি নিইনি" কিন্তু এখন চিত্রটা আলাদা। এখন সন্তানদের পছন্দ অপছন্দের থেকেও অভিভাবকদের চাপ অনেকক্ষেত্রে পরিস্থতিকে জটিল করে তুলছে।
তিনি যোগ করেছেন, "আমার বাবা চেয়েছিলেন যে আমি ভালভাবে পড়াশোনা করি, কিন্তু তিনি আমাকে, আমার আগ্রহের দিকে যেতে কখনও বাঁধা দেন নি'। এখন পড়ুয়ারা JEE-এর জন্য ক্লাস ফাইভের এর আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, "AI চাকরির ক্ষেত্রে কোন প্রভাব ফেলবে না। স্বয়ংক্রিয় রোবট ব্যবহার করার পর এখনও দক্ষ লোকের চাহিদা রয়েছে। মনে রাখবেন, টাকা গোনার মেশিনের ব্যবহার কিন্তু ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ারকে কোন ভাবেই প্রভাবিত করেনি।"