ক্রমশই অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বাড়ছে নয়া দিল্লিতে। স্কুল পড়ুয়াদের অনেকেই করোনা আক্রান্ত। বহুদিন বাড়িতে বসে অফলাইন ক্লাস করা পরেই স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে নিজস্ব জীবনে ফিরেছিল তারা, তবে বেশিদিনের রেহাই নেই। ফের ভাইরাসের সংক্রমণ - উদ্বেগ গোটা দেশ জুড়েই। যথারীতি ছোট বাচ্চাদের নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় অভিভাবকরা। এখনও স্কুল বন্ধ নিয়ে কোনও নির্দেশ না দিলেও কর্তৃপক্ষের তরফে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বললেই জানিয়েছেন তারা।
দিনে দিনে সংক্রমণের মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে একেবারেই কোনওরকম ভুল ভ্রান্তি বরদাস্ত করা হবে না। তৎক্ষণাৎ নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে স্কুল বিল্ডিং। ক্যাম্পাস বন্ধ করা যাবে না, তার চেয়ে বারবার স্যানিটাইজেশন করা দরকার। যদি কোনও বাচ্চা করোনা আক্রান্ত হন, তবে সেই ঘরটিকে বন্ধ করা হবে। দেখতে হবে যেন শিশুরা মাস্ক পরেই স্কুলে আসে।
প্রসঙ্গে শুভী সোনি বলছেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাব কমবে না, এটি অতি সহজে যাওয়ার নয়। তবে এই সংক্রান্ত ভয় একেবারেই কমবে। এটি সামনের সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা ফ্লু জাতীয় এন্ডেমিকে পরিণত হবে। যদিও বা সরকারের তরফে এখন মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক নয়। তিনি আরও বলেন, এখন অপেক্ষা করলে চলবে না। প্রথম থেকেই হাল ধরতে হবে। যাতে ভয়াবহ অবস্থা না দেখা দেয়, সেইদিকেও নজর দিতে হবে।
তবে, পরিস্থিতি বিচার করে অনলাইন এবং অফলাইন ক্লাসের কথাই ভেবে দেখা হচ্ছে। তিনদিনের অফলাইন স্কুল এবং দুইদিনের অনলাইন শিক্ষার দিকেই ঝুঁকি তাদের। বিদ্যালয় প্রাঙ্গন ফের বন্ধ করে দেওয়া কোনও সমাধান হতে পারে না। শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে গেছে, তাদের সামাজিক এবং মানসিক সুস্থতা থাকা প্রয়োজন। অভিভাবকদের উদ্বেগ এমনিও বাড়ছে, এদিকে দিল্লি কর্তৃপক্ষ যেখানে প্রয়োজন সেখানেই স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
অন্যদিকে, শিক্ষক সমাজের বেশিরভাগই ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে চিন্তিত। অনসূ মিত্তল বলছেন, স্কুলের ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখা, জীবাণুমুক্ত রাখা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সবদিকেই খতিয়ে দেখা হবে। পড়ুয়া কিংবা শিক্ষকদের মধ্যে কেউ সংক্রমিত হলে, অবশ্যই স্কুলের গ্রুপে সেটি জানানো বাধ্যতামূলক। বাসে কোনও পড়ুয়া স্কুলে এলে বাস কর্তৃপক্ষকেও জানাতে হবে। রিপোর্ট আসার পরেই সবরকম তথ্য স্কুলে পৌঁছানো জরুরি। অবশ্যই যেন সংক্রমিত কেউ স্কুলে না আসেন। সম্পূর্ন সুস্থ হওয়ার পরে নেগেটিভ রিপোর্ট এলেই তারা প্রবেশ করতে পারবেন।
দিল্লির ডেপুটি চিফ মিনিস্টার মনীশ সিসোডিয়া জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের কেস বাড়লেও হসপিটালের প্রয়োজনীয়তা নেই কিংবা ভয়াবহতা খুব একটা নেই। অফলাইন মোডে পড়াশোনা শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শিশুদের মধ্যেও সামান্য সমস্যা কিন্তু দেখা যাচ্ছে।