দিল্লির করোনা পরিস্থিতি বিচার বিবেচনা করে উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, এই ভয়ঙ্কর সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করা যথাযথ সিদ্ধান্ত হবে না। এই মুহূর্তে পরীক্ষা স্থগিত রাখা শ্রেয়।
ভারতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরার পর, মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বোর্ড পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রায় ২৯ টি বিষয়ে বাকি থাকা পরীক্ষা ১ জুলাই থেকে ১৫ ই জুলাইয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়। এইচআরডি মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালকে চিঠিতে, সিসোদিয়া বাকি পরীক্ষাগুলি অনুষ্ঠিত না করার অনুরোধ করেন। সেক্ষেত্রে বোর্ড ভিন্ন কোনো পদ্ধতি বা স্কুল অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের উপর নির্ভর করে দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
তিনি রাজধানীতে দ্রুত ক্রমবর্ধমান করোনা সংখ্যার কথা উল্লেখ করে প্রার্থীদের অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
“… মোটক রোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ জুন ২০২০ তারিখে ছিল ৪৪,৬৮৮। সম্ভবত ৩১ শে জুলাই সেই সংখ্যা পৌঁছাতে পারে ৫.৫ লক্ষে। এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনও প্রার্থী বা পরিবারের কেউ করোনা টেস্ট করেন তবে সে পরীক্ষা দিতে পারবে না।"
বাকী পরীক্ষা পরিচালনার বিষয়ে সিবিএসইর বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, যেসব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার সময় কনটেইনমেন্ট জোনে বসবাস করবে, তারা পরীক্ষা দিতে পারবেন না। অন্যদিকে, সেই জোনে পরীক্ষা কেন্দ্র রাখবে না বোর্ড। সিসোদিয়া দিল্লির উচ্চ সংখ্যক কনটেইনমেন্ট জোনগুলি সংখ্যা উল্লেখ করেছেন- ২৪২ এবং সেই সংখ্যা যে বাড়তে পারে, সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বলেন, "এই অঞ্চল থেকে কোনও শিশু কীভাবে পরীক্ষা দিতে আসবে সে সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট সমাধান নেই"।
সিসোদিয়া আরও উল্লেখ করেছেন, যে দিল্লির সরকারি স্কুলগুলি ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে - রেশন বিতরণ কেন্দ্র হিসাবে ২৩১টি, পরিযায়ীদের ত্রাণ কেন্দ্র হিসাবে ৩৩টি, আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ৩৯টি, কাজেই এই স্কুল গুলি ১ জুলাইয়ের মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের মতো অবস্থায় থাকবে না।
Read the full story in English