প্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনার প্রয়োজন আছে শিক্ষাব্যবস্থায়। আগামী দিনে ডিজিটাল বিশ্বের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। কাজেই, এবছর শিক্ষানীতি খসড়ায় প্রযুক্তিবিদ্যা উন্মোচনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় উন্নত থেকে উন্নততর হয়ে উঠছে গোটা বিশ্ব। যে কারণে, আগাম সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে।
খসড়ায় উল্লেখ আছে, "যখন ১৯৮৬/১৯৯২ শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, তখন ইন্টারনেটের বর্তমান প্রভাব সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন ছিল, বিশেষ করে যে হারে আধুনিকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাও আন্দাজ করা যায় নি।" সে সময়ে কমিটি যে শিক্ষানীতি পেশ করেছিল, তাতে স্কুলে কম্পিউটার শেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। ১৯৯২-এর খসড়ায় বলা হয়, উন্নয়নের পথে অনুঘটকের কাজ করেছে আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞাপন। সময় ও দূরত্বের ব্যবধান কমিয়ে এনেছে প্রযুক্তি। যে কারণে, নতুন শিক্ষানীতির খসড়ায় প্রযুক্তি শিক্ষার কথা উল্লেখ আছে। আরও বলা হয়, "বর্তমান শিক্ষার্থীরা এমন একটি প্রজন্মের অন্তর্গত যা প্রযুক্তি সমৃদ্ধ। যে হারে আধুনিকতার স্পর্শে দিন দিন উন্নত হয়ে চলেছে প্রযুক্তি, তাতে ভবিষ্যতে চাকরি ক্ষেত্রে এমন কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, যার বর্তমানে কোনো অস্তিত্ব নেই।"
আরও পড়ুন: শিক্ষানীতির খসড়া নিয়ে তোলপাড় দেশ, কী বলছে বাংলার শিক্ষামহল?
তিন দশক ধরে চলে আসা শিক্ষানীতির সর্বশেষ খসড়া জমা পড়েছে ৩১ মে। ত্রিভাষা তত্ত্ব নিয়ে শোরগোল বেঁধে গেলে, পরবর্তীকালে চাপে পড়ে তা সংশোধন করা হয়। খসড়ায় বলা হয়েছে, "ইংরেজি আন্তর্জাতিক স্তরে সর্বজনীন ভাষা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় প্রয়োজন হয় এই ভিনদেশীয় ভাষার। কাজেই শিশুদের ইংরেজি শেখার প্রতি জোর দেওয়া উচিত।"
১৯৯২-এর শিক্ষিনীতি থেকে বাদ পড়েছিল বৈদ্যুতিক জ্ঞান বাড়ানোর চিন্তাভাবনা। এবছর সংশোধনের পর যে খসড়া জমা পড়েছে তাতে বলা হয়, "বৈদ্যুতিক শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে প্রত্যেক স্কুলকে। এখনও বহু গ্রামীন স্কুলে প্রর্যাপ্ত আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামো সহ বিদ্যুৎ নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, প্রাথমিক পর্যায়ে এই ধরণের সমস্যা সমাধান করতে হবে।"
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের ডিজিটাল ও অনলাইনে শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রথমে অনুশীলন দেওয়া হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। ছয় বছর বয়স থেকেই শিক্ষার্থীদের স্কুলে কম্পিউটার বিষয়ক ভাবানাচিন্তায় দীক্ষিত করতে হবে।
Read the full story in English