গোটা পশ্চিমবাংলা জুড়ে শিক্ষক আসনের শূন্য পদ। তবে শীঘ্রই সেই সমস্যার সমাধান হবে বলেই মঙ্গলবার বিধানসভায় জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তার বক্তব্য দ্রুত রাজ্য জুড়ে শিক্ষকদের সমস্ত শূন্য পদে নিয়োগ করা হবে।
এদিন বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "রাজ্য সরকারী হোক অথবা সাহায্যপ্রাপ্ত আমাদের একটাই লক্ষ্য, মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান করা। আমাদের শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বে আমরা গর্বিত, তাই শিক্ষক নিয়োগের সময়ও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। শিক্ষকের এবং শিক্ষার মানের প্রতি কোনও আপস না করেই নির্বাচনের কাজ করা হবে। আগামীতে একটিও শূন্য পদ থাকবে না।" তিনি আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই রাজ্য সরকার পরিচালিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে নিয়োগের প্রতিটি পদক্ষেপ খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।"
শুধুই যে নিয়োগ তাই নয়, নিজ বাসভবনের কাছে কিংবা নিজস্ব জেলাতেই শিক্ষকদের পোস্টিং দেওয়া হয়েছে কিনা সেই বিষয়েও কর্তৃপক্ষ দেখবে, দরকার পড়লে পর্টালের সাহায্য নেওয়া হবে। এসএসসি পাশ করেও চাকরি পাচ্ছেন না বহু ছেলেমেয়ে। দলে রয়েছেন টেট পরীক্ষার্থীরাও। মেধাতালিকায় নাম থাকার পরেও বঞ্চনার শিকার তারা। মেয়ো রোডে টানা বিক্ষোভ করাকালীন আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসের পরেও কোনও লাভ হয়নি।
শুভেন্দু অধিকারীও শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, বাজেটে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য না থাকায় যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। অবশেষে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নড়েচড়ে বসার কারণই কী তবে অবস্থান বিক্ষোভ? কীভাবে এবং কবে সেই সম্পর্কে এখনই কিছু জানাননি তিনি, তবে আশ্বাস দিয়েছেন শীঘ্রই হবে।