অবশেষে অপেক্ষার অবসান! রাজ্যে পুনরায় খুলছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। এতদিনের প্রতিবাদ, ছাত্র আন্দোলনের পরে সরকারের এই সিদ্ধান্ত যেন হাসির রেখা ফুটিয়েছে সকলের মুখে। আনন্দের রেশ শিক্ষক মহল থেকে ছাত্রদের মধ্যে। ফেব্রুয়ারি মাসের তিন তারিখ থেকেই খুলছে রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আপাতত অষ্টম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পঠনপাঠন হবে, পঞ্চম থেকে সপ্তম হবে পাড়ায় শিক্ষালয়।
Advertisment
সরকারের এই সিদ্ধান্তে বেজায় উচ্ছাসিত এসএফআই এর রাজ্য সম্পাদক, বক্তব্যে খুশি পরিস্ফুট। বললেন, "আজকে আমাদের আংশিক জয়। সম্পূর্ণ ভাবে খুললেই বেশি খুশি হতাম, তবে এটুকু দিয়েই শুরু হোক! এই আন্দোলনের পথে যারা যেভাবে সঙ্গী হয়েছেন তাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পরিকাঠামো মেনে এবার শুরু হলেই ভাল।"
সবথেকে বেশি খুশি যেন, শিক্ষক শিক্ষিকারা। এতদিনের কষ্ট, প্রতিবাদ পেরিয়ে আবার স্কুলের দরজা খুলছে বলে কথা। সাউথ পয়েন্ট স্কুলের শিক্ষিকা সোহাগ কানুনগো বলছেন, "এ যেন এক অসামান্য অনুভূতি। মনে হচ্ছে আজকে বিশ্বজয় হল, কতদিন পর! এত আন্দোলন, এত প্রতিবাদ যে বিফলে গেল না সেটা ভেবেই ভাল লাগছে।" মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছেন, হুগলি গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা রত্না ভট্টাচার্য্য। বলছেন, "স্কুল খোলার মত আনন্দ আর সত্যি নেই। ভেবেই ভাল লাগছে, বাচ্চারা আসবে - ওদের জীবন আবার ছন্দে ফিরবে, সব ভালোয় ভালোয় শুরু হোক।"
অন্যদিকে শিক্ষক সমিতির সদস্য মণীশ পান্ডা বলছেন, "শিক্ষকদের জয়, ছাত্র জীবনের জয়। যদিও অর্ধেক ভাবে খুলছে, বাকিরা এখনও পাড়ায় শিক্ষালয়। পরিকাঠামোর দিকে নজর দিতে হবে, স্কুলের শিক্ষকদের মনোবিদদের সঙ্গে কথা বলে সমস্ত রকম কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। আর যারা পাড়ায় শিক্ষালয় এর আওতায় তাদেরও সবরকম সুযোগ সুবিধা পাওয়া উচিত, অনেক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।"
বোঝাই যাচ্ছে, খুশি শিক্ষকমহলের বেশিরভাগই। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, এবার সব ভালোয় ভালোয় শুরু হলেই হল, তাতে সকলের মঙ্গল।