দেশে নয়া শিক্ষানীতি আরোপ নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভের মুখে পড়েছিল ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। যদিও প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন ‘জাতীয় শিক্ষানীতি কোনও নির্দিষ্ট সরকারের নয়, দেশের নীতি।’ সোমবার মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সেই সুর টেনেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে ভারতকেই তার পীঠস্থান হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু করা হয়েছে।
এদিন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নরেন্দ্র মোদী বলেন, "এবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে বাস্তব জীবনের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশাল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চলেছেন আপনারা। এটি এমন একটি ক্যাম্পাস হবে যেখানে ডিগ্রির পাশাপাশি আপনার এতদিনের অর্জিত ক্ষমতা এবং আপনি যে জ্ঞান অর্জন করেছেন তা প্রয়োগের কাজ করতে হবে।" এরপরই তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি প্রয়োগের উল্লেখ করেন। কীভাবে এই নীতির মাধ্যমে পড়ুয়াদের স্কিল আরও উন্নত করা যাবে সে বিষয়েও নিজের মত প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে কি ভোল বদলাবে শিক্ষা ব্যবস্থার?
উচ্চতর পর্যায়ে শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং শিক্ষা কাঠামোর উন্নতির প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, "গত পাঁচ থেকে ছ'বছরে দেশে ৭টি নতুন আইআইএম স্থাপন করা হয়েছে। এর আগে দেশে ১৩ টি আইআইএম ছিল। ২০১৪ সালের পরে দেশে ১৫ টি এইমস স্থাপন করা হয়েছে এবং কয়েকটি শুরু করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।” এছাড়াও তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পর্কে বলেন, “দেশে প্রাক-নার্সারি থেকে পিএইচডি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত সমগ্র শিক্ষার মৌলিক পরিবর্তন আনাই একটি বিশাল কাজ। আমাদের দেশের পড়ুয়াদের আরও বিকশিত করার জন্য বহুমাত্রিক পদ্ধতির দিকে মনোনিবেশ করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, নয়া শিক্ষানীতিতে ভারতে ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এমনটাই জানান হয়। বিশ্বের ১০০টি বিদ্যালয়েকে বেছে নেওয়ার কাজ শুরু হবে এই নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে। ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স স্ট্যাটাস রয়েছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়কেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। যেমন ইয়াল, কেমব্রিজ, এমআইটি, স্ট্যান্ডফোর্ড, এডিনবার্গ, ব্রিস্টলের মতো বিশ্ববিদ্যালয়কে ভারতে ক্যাম্পাস খোলার ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালে। কিন্তু সেই সময় ভারতে নিজেদের ক্যাম্পাস খোলার কোনও ইচ্ছাপ্রকাশ করেনি এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। তবে মোদী সরকারের জমানায় সেখানে বদল আসবে কি না তা অবশ্য সময়ই বলবে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন