Advertisment

সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে আমরণ অনশন

এসআরএফটিআই-এর অনশনরত আন্দোলনকারী মানস কৃষ্ণ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলেন, "প্রত্যেক বছরই ১০ শতাংশ করে ফি বাড়ানো হয় এখানে। ফলে, এখন ফি-খরচ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে আর তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না"।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

চব্বিশ ঘণ্টা অতিক্রম করল এসআরএফটিআই-এর ছাত্রছাত্রীদের আমরণ অনশন। দিল্লির জহওরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) পর ফি বৃদ্ধি নিয়ে সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে (এসআরএফটিআই) শুরু হল প্রতিবাদ। চড় চড় করে বাড়ছে 'ফি', পড়ুয়ারা মনে করছেন, মধ্যবিত্ত ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষে কোনওভাবেই আগামী দিনে এসআরএফটিআইতে লেখাপড়া করা আর সম্ভব হবে না। তাই এই অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ৬ জন পড়ুয়া আমরণ অনশন শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি, ফি বৃদ্ধির পদক্ষেপ প্রত্যাহার না করা হলে অনশন- আন্দোলন চলবেই।

Advertisment

এসআরএফটিআই-এর অনশনরত আন্দোলনকারী মানস কৃষ্ণ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলেন, "প্রত্যেক বছরই ১০ শতাংশ করে ফি বাড়ানো হয় এখানে। ফলে, এখন ফি-খরচ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে আর তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না"। জানা যাচ্ছে, ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় পরিচালন সমিতির মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনস্থ) হওয়া সত্ত্বেও এমন ফি বৃদ্ধি মেনে নিতে পারছে না ছাত্ররা। মানস কৃষ্ণ বলেন, "চার বছর আগে এসআরএফটিআই-এ ভর্তি হতে ৬০ হাজার টাকা বার্ষিক ফি দিতে হত। এ বছর সেখানে দিতে হবে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা"।

আন্দোলনকারী ছাত্রদের দাবি, ফি- বৃদ্ধি প্রসঙ্গে অনেকবার কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করলেও তারা কর্ণপাত করেনি। গরিব পড়ুয়াদের জন্য এখানে কোনোরকম সুযোগ সুবিধাই নেই। সে জন্যই অনশন-আন্দোলনের সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে, এসআরএফটিআই সূত্রে খবর, কয়েকবছর আগেই গভর্নিং বডি প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে ফি বাড়ানোর নীতি চালু করেছে।

প্রবেশিকা পরীক্ষা থেকে বিরাট মুনাফা আদায় করেছে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এফটিআইআই) এমনটাই দাবি করছে পড়ুয়ারা। তারা আরটিআই করে যে তথ্য হাতে পেয়েছে তা প্রকাশ্যে তুলে ধরেছেন প্রতিবাদী পড়ুয়ারা। শুধুমাত্র প্রবেশিকা পরীক্ষা থেকে ২০১৮ সালে ১.৩৯ কোটি ও ২০১৯ সালে ১.১৭ কোটি টাকা লাভ করেছে প্রতিষ্ঠান, এমনটাই দাবি তাঁদের।

মানস কৃষ্ণ বলেন, “প্রবেশিকা পরীক্ষার ফি ২০১৬ সালে ছিল ২,১৫০ টাকা। তা ইতিমধ্যে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা। এরপর বিভিন্ন কোর্সের খরচও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ কেবল মাত্র চলচ্চিত্র শিক্ষাকে ব্যয়বহুলই করে তুলছে না, প্রবেশিকা পরীক্ষা থেকে মুনাফাও অর্জন করছে প্রতিষ্ঠান।" এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের মত জানার জন্য এসআরএফটিআই-এর অধিকর্তা দেবমিত্রা মিত্রর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

এফটিআইআইয়ের পরিচালক ভূপেন্দ্র কাইন্ঠোলা এই অনশনকে “সম্পূর্ণরূপে ন্যায়বিচারহীন” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, "শিক্ষার্থীদের স্বার্থে প্রবেশিকা পরীক্ষার ফি সংক্রান্ত নতুন প্রকল্প গঠন করা হয়েছে এবং বছরে দশ শতাংশ ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আজকের নয়"।

Advertisment