করোনার দিনগুলিতে পাবজি; কেমন আছেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা?

আবাসিক প্রতিষ্ঠানে হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ গণপরিবহণ কমিয়ে দেওয়ার ফলে রোজ স্কুল কলেজ যাতায়াত করাও সমস্যা হয়ে যাচ্ছে।

আবাসিক প্রতিষ্ঠানে হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ গণপরিবহণ কমিয়ে দেওয়ার ফলে রোজ স্কুল কলেজ যাতায়াত করাও সমস্যা হয়ে যাচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

করোনা আতঙ্কে ছেয়ে গিয়েছে দেশ, দশম-দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা স্থতিগ হয়েছে, পিছিয়েছে কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়াও। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, চাকরির পরীক্ষার, ইন্টারভিউ সব স্থগিত রয়েছে। দেশের অধিকাংশ আবাসিক  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  চিকিৎসার পরিকাঠামো যথেষ্ট না থাকায় পড়ুয়াদের হোস্টেল ফাঁকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisment

দিকশান্ত যোশী উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের বাসিন্দা। বহুজাতিক সংস্থার চাকরি ছেড়ে কেন্দ্র সরকারের এসএসসি সিজিএল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিল। এখন পরীক্ষা পিছিয়েছে অনির্দিষ্ট কালের জন্য। যোশীর মত, "পরীক্ষা পিছোনো মানে প্রশ্ন আরও কঠিন হয়ে যাওয়া, আরও কঠিন হবে প্রতিযোগিতা। খুব বেশিদিন ধরে ঘরে বন্দি থেকে পরীক্ষার জন্য মনঃসংযোগ করা মুশকিল হয়ে যাবে"।

আবাসিক প্রতিষ্ঠানে হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ গণপরিবহণ কমিয়ে দেওয়ার ফলে রোজ স্কুল কলেজ যাতায়াত করাও সমস্যা হয়ে যাচ্ছে।

publive-image 

Advertisment

জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারিন আফজা জানালেন ভিন দেশ থেকে আসা পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে হোস্টেল থাকলেও দেশের পড়ুয়াদের  দু'দিনের মধ্যে হোস্টেল ফাঁকা করতে বলা হয়েছে। ফারিন জানিয়েছে, "আমরা ৫ থেকে ১০ জন মেয়ে মিলে আমাদের খাবার জোগাড় করে ফেলব। কিন্তু আমাদের থাকতে দেওয়া হোক। অতিমারির সময়ে গণপরিবহণে চলাচল করা তো আরও সমস্যার। আর এতো কম সময়ের মধ্যে বিহারের টিকিট পাওয়াও খুব মুশকিল। ট্রেন খুব বাতিলও হচ্ছে"। জনতা কারফিউয়ের দিন ফারিনের কাছে না আছে থাকার ব্যবস্থা, না খাওয়ার। বন্ধুর বাড়িতে থাকা ছাড়া আর কোনও বিকল্পই দেখছে না সে।

" width="640" height="360" allowfullscreen="allowfullscreen" data-mce-fragment="1">

আইআইটি ভুপালের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আনন্দ রাজ বলছেন, "আমার মা বাবা দুজনেই বাইরে কাজ করেন, আমি তাই হোস্টেলেই থেকে যাব ভাবছি। আমরা প্রথমে করোনার গুরুত্ব বুঝতে পারিনি, ভেবেছিলাম আইআইটি কর্তৃপক্ষ বাড়াবাড়ি করছে। আমার বন্ধুদের কয়েকজন কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও ইউপিএসসি -র প্রস্তুতি নিচ্ছিল, আর আমি প্রায় ২২০ দিন পর পাবজি খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। এতদিন পর স্ক্রিনে "ওয়েলকাম ব্যাক' দেখে খুশিতে নেচে উঠেছিল মন।