স্কুল শিক্ষা ও সাক্ষরতা অধিদপ্তর, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক (এইচআরডি) ‘প্রজ্ঞা’ নামের একটি পোর্টাল চালু করেছে। রাজ্য, স্কুল, শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল শিক্ষার বিস্তৃত নির্দেশিকা দেওয়া আছে। এই নতুন রুল-বুক নিয়ে ৮ ই জুন মন্ত্রক এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়।
প্রয়োজন মত যথাযথ ডিজিটালের পড়াশোনা করার বন্দোবস্ত করতে বলা হয়েছে। যে নতুন শিক্ষাবর্ষের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি করছে এনসিইআরটি সেটি সমেত উন্নত করতে হবে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা। টিভি , রেডিও এবং অন্যান্য গণমাধ্যমের সাহায্যে পড়াশোনার বিষয়বস্তু পৌঁছে দিতে হবে ছাত্র ছাত্রীদের কাছে। এরজন্য রাজ্যকে তৌরি করতে হবে পৃথক শিক্ষামূলক চ্যানেল।
মন্ত্রক রাজ্যকে শিক্ষার্থীদের কাছে মুক্ত এবং বিনামূল্যে ডিজিটালের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে জোর দিয়েছে।
স্কুলগুলিকে মুখোমুখি অনলাইনে পড়ানোর পাশাপাশি বিকল্প সময়সীমা নিয়ে পর্যালোচনা করে, একদিন অন্তর রুটিন তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হবে। শিক্ষকদের প্রাথমিক স্তরের জন্য ২০-৪৫ মিনিটের দুটি ক্লাস এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ৩০-৪০ মিনিটের চারটি ক্লাসের জন্য বলা হয়েছে।
মন্ত্রক ডিজিটাল বিষয়ে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য সাইবার স্পেসে সুরক্ষিত ও নিরাপদ থাকার বিষয়বস্তু সহ স্বাস্থ্যকর অনলাইন ব্যবহার সম্পর্কে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য গাইডলাইন শেয়ার করেছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে স্কুল বন্ধ এবং ক্লাসগুলি ডিজিটাল মাধ্যমে চলছে। প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য, রেডিও এবং টিভির মাধ্যমে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
দীক্ষায় সিবিএসই, এনসিইআরটি এবং স্টেট বোর্ডের প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম রয়েছে; এটি ওয়েবসাইট ও ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন।
Read the full story in English