করোনা মহামারীর অসন্তোষ কাটিয়ে স্কুল খুলেছে বছরও দুয়েক পর। তারপরেও যেন সমস্যার শেষ নেই। স্কুল পড়ুয়াদের ফি থেকে শুরু করে পুল কারের টাকা এই নিয়ে জেরবার অভিভাবকরা। গত বছর থেকেই স্কুলের বেতন নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র শোরগোল। বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রাঙ্গণ, তারপরেও কেন এই বিরাট অঙ্কের টাকা দিতে হবে তাদের? ঘটনার প্রসঙ্গেই মামলা হয় আদালতে। গতকাল রায় মিলতেই বন্ধ করে দেওয়া হল জিডি বিড়লা। অভিযোগ উঠেছে অশোকা হল, এবং মহাদেবী বিড়লা স্কুলের বিরুদ্ধেও, কারণেই আজ বন্ধ রাখা হয়েছে অশোকা হলের দরজাও।
বেশ কিছুদিন ধরেই অভিভাবকরা বিক্ষোভ করছিলেন স্কুলের সামনে। তাদের বক্তব্য আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ৮০% স্কুলের বকেয়া দেওয়া হলেও বেশ কিছু ছাত্রীদের ভেতরে ঢুকতে নিষেধ করা হয়। এদিকে বিচার চলাকালীন স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, কোনও ছাত্রীকে বের করে দেওয়া হচ্ছে না। গতকাল এই মামলার রায়ের পরেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল, গেটের সামনেই স্কুল বন্ধ নিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিশ। কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিভাবকদের কারণে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা রাখা প্রয়োজন, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। তবে প্রশ্ন উঠছে তাঁদের ভবিষ্যতের! এভাবে পড়াশোনায় ছেদ পরছে, চিন্তায় অভিভাবকরা।
অভিভাবকদের একাংশ যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সম্পূর্ণ বিষয়ে, হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না কেউই। স্কুল ফি নিয়ে এর আগেও বারবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনেকেই। তাতে নির্দেশ মিলেছিল এমনই বেতন নিয়ে ঝামেলা থাকলেও, পড়ুয়াদের উত্তীর্ণ হতে আটকানো যাবে না এমনকি মার্কশিটও আটকে রাখা যাবে না।
গতকাল এই প্রসঙ্গে বিচারপতি জানান, সবসময় কোর্টের নজর রাখা সম্ভব হয় না। যখন স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে না তখন সমস্যা থাকার কথা নয়। নতুন ক্লাসে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া বাধ্যতামূলক! যারা ৮০ শতাংশ ফি দিয়েছেন আগামী ২০ শতাংশ আগামী দু সপ্তাহের মধ্যেই দিয়ে দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত।