সমাবর্তনে আচার্য তথা রাজ্যপালের বিশেষ ভূমিকা বাতিল হওয়ায় বেজায় চটেছেন জগদীপ ধনখড়। বিশেষ সমাবর্তন বাতিলের ক্ষমতা কার হাতে? উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে রবিবার চিঠি দিয়ে সেই প্রশ্নই তুলেছেন রাজ্যপাল। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মাবলী উল্লেখ করে এই সমাবর্তনকে 'বেআইনি' বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বেআইনি শংসাপত্র নিয়ে পড়ুয়াদের পরবর্তীকালে সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপালের হাতে যে ক্ষমতা রয়েছে তা উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অবৈধ, এমনটাই মত ধনকড়ের। তিনি উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, "২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ আপনি আমাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে উল্লেখ করে সে দিনের কার্যনির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের কথা চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন। আপনি জানিয়েছিলেন, ২৪ ডিসেম্বরের পূ্র্বনির্ধারিত সমাবর্তন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী আচার্য হিসাবে আমাকে যা ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা আমি প্রদর্শন করব। ”
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, “দয়া করে মনে রাখবেন, এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কার্যনির্বাহী কাউন্সিলের নেই। আর আপনি উপাচার্য হিসাবে ২১ ডিসেম্বর গৃহীত ওই সিদ্ধান্ত না মেনে (সমাবর্তনের) কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন"।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া তথা এসএফআই ছাত্র সংগঠনের সদস্য দেবরাজ দেবনাথ বলেন, “গত কয়েকমাসে রাজ্যপালের বিভিন্ন কার্যক্রমে এটা স্পষ্ট যে তিনি লাগাতার বিজেপি- আরএসএস-এর দালালি করে ফ্যাসিবাদের একনিষ্ঠ প্রচারকের ভূমিকা পালন করে আসছেন। তাই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কাছে আমাদের আহ্বান যে একসঙ্গে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানাব ও জগদীপ ধনকড়কে বয়কট করব। এদিন কালো পতাকা ও কালো ব্যাজ পরে আমরা আওয়াজ তুলব সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে, আওয়াজ তুলব দেশজুড়ে চলা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং জগদীপ ধনকড়দের বিরুদ্ধে”। অন্যদিকে, ডিএসসি, ডিলিট যাদের গ্রহণ করার কথা, তাঁরা কেউ কেউ ধনখড়ের হাত থেকে সন্মান পদক নিতে চায় না বলেও জানা যাচ্ছে।