বুধবার আচার্যের ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিলেন না রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যেরা। এর পরে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল বলেন, "দেশের কোনও রাজ্যে এমন অবস্থা নয়। এখানে রাজনৈতিকভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে চালনা করা হচ্ছে। এ রাজ্যের শিক্ষা আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কেন উপাচার্যরা বৈঠকে যোগ দিল না? ১৫ জানুয়ারি তার উত্তর জানতে চেয়েছিলাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। ছয় মাস কেটে গিয়েছে এখনও কোনও জবাব দেওয়ার সময় পাননি তিনি। ১৫ জুলাই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের ঘোষণা করি। কিন্তু, সরকার থেকে জানান হয়েছে, এমন ভার্চুয়াল বৈঠকের নিয়ম নেই। আমি শিক্ষাব্যবস্থায় উন্নতির জন্য উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্য সরকার আমার কাজে বাধ দিচ্ছে"।
টুইট করে রাজ্য পাল বলেন, "ভার্চুয়াল কনফারেন্স এ পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যের থেকে অনেক কিছু জানার সুযোগ হল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অন্য উপাচার্যরা ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থের কথা ভাবলেন না। তাঁরা বৈঠকে থাকেননি। বিদ্যার্থীদের স্বার্থের পরিপন্থী কিছু মানব না। ১৬ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টায় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে মিলিত হয়ে যা বলার বলব"।
ধনখড়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন শুধু রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজেন্দ্রনাথ পাণ্ডে। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের অধীনে নেই এই বিশ্ববিদ্যালয়।রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে। কিন্তু তিনি সহ-উপাচার্যকে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। সেই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।
সাংবাদিক বৈঠকের আগে রাজ্যপাল টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি চিঠি প্রকাশ করেন। তাতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, উপাচার্যেরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিধি মেনে কাজ করেন। প্রশাসনিক দফতর হিসেবে তাঁরা উচ্চশিক্ষা দফতরের পরামর্শ নেন। এই চিঠি পোস্ট করার সঙ্গে ধনখড় টুইটারে লেখেন, "ছাত্র-ছাত্রীদের মুখ চেয়ে এবং তাঁদের অগ্রাধিকারের কথা ভেবে উপাচার্যদের ভার্চুয়াল কনফারেন্স এ যোগ দেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক অবস্থান নেওয়া অনুচিত। শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে চেয়েও তা সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষা ব্যবস্থাকে 'রাজনৈতিক খাঁচাবন্দি' করে রাখলে তার ফল ভয়াবহ হতে বাধ্য। এমন ব্যবস্থা আত্মঘাতী। উপাচার্যদের কাছে আইন কি কারও 'অঙ্গুলিহেলন'!