দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বই খুলে অনলাইন পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না হাইকোর্ট। তবে ইউজিসি এবং কেন্দ্রকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদেরও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে নজর সমাধানের পথ খোঁজার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না। তাবে অফলাইন পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে, ১ জুলাই থেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন।
বিচারপতি রাজীব সাহা এন্ডল ও আশা মেননের একটি বেঞ্চ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং কেন্দ্রকে বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ১১ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছে। এর পরবর্তী শুনানি ১২ জুন।
ইতিমধ্যে, সমস্ত শিক্ষার্থীরা ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বই খুলে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নিতে শুরু করেছে। আদালত, ৯ জুন নির্দেশ দিয়েছে, পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। বেঞ্চ আরও একটি দ্বিতীয় প্রশ্নপত্র তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে। কোনো কারণ বশত যাঁরা এই পরীক্ষা দিতে পারবেন না, তাদের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্র ও ইউজিসিকে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বই খুলে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীদের কাছ মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ন্যাশেনাল ফেডারেশন অফ দ্য ব্লাইন্ড।
Read the full story in English