উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্যানেল থেকে শুরু করে মেধাতালিকা সবই বাতিল করে দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। স্বজনপোষন ও দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকের পরীক্ষার্থীদের একাংশ। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জট কাটাতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনও। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন এই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
পরীক্ষার্থীদের তথ্য যাচাই থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব স্তরের কাজ নতুন করে শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ৪ জানুয়ারি থেকে শুরু করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। ৫ এপ্রিলের মধ্যে তথায যাচাই ও ১০ মে-র মধ্যে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। আদালতের নির্দেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ৩১ জুলাই। অযোগ্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে হবে।
পরীক্ষার্থীদের তরফে আইনজীবী এমনটাই দাবি করেছেন।
উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১১ ও ২০১৫ সালে টেট হয়েছিল।টিচার এলিজিবিটি টেস্ট বা টেটে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁদের ভেরিফিকেশনের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ওই তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়।
তৃণমূলের আমলে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে বারে বারেই প্রশ্ন উঠেছে। দাবি-দাওয়া, অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। সরব হয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের রায় বিরোধীদের সেই অভিযোগকেই মান্যতা দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন