পড়ুয়াদের পরীক্ষা নিয়ে ভীতি থাকেই। এবছর তার সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে করোনা আতঙ্ক। পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে রয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ভয়। সর্বক্ষণ সিসিটিভি আর চিফ ইনভজিলেটর ও মোবাইল অবজারভারদের সন্দেহের তীক্ষ্ণ নজর থাকছে পরীক্ষার্থীদের ওপর। সুতরাং, এবছর টেনশনের আবহের মধ্যেই আঁটোসাঁটো পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হচ্ছে পরীক্ষর্থীদের।
প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশ পথে দেখা গেল পরীক্ষার্থীদের মুখে মাস্ক। পরীক্ষক ও পুলিশের হাতে মেটাল ডিটেক্টর। মোবাইল মারফত প্রশ্নপত্র ফাঁস যাতে না হয়, তার জন্য পরীক্ষার শুরুতেই ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। তার জন্য প্রধান ফটকেই মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষার্থীদের চেকিং চলছে। অন্যদিকে, পরীক্ষার হলে অপরিচিত ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড়ে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে এমন আশঙ্কা থাকতে পারে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। এমনিতেও পরীক্ষার সময় সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাঁরা। তাই অনেকের মুখে দেখা গেল মাস্ক। সেটি না খোলার নির্দেশও দিচ্ছেন মা বাবা।
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল পরীক্ষা কেন্দ্রে পুলিশ দিয়ে প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে পরীক্ষা করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন ও অ্যাডমিট কার্ড দেখার সঙ্গে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক করা হয় প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে। ডিজিটাল হাতঘড়ি নিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে দেওয়া হয়নি। শালীনতা বজায় রেখে যতটা পরীক্ষা করা সম্ভব তাই করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ গিরিশচন্দ্র বেরা জানিয়েছেন-" রাজ্যের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরে নিশ্চিত করে করোণা আক্রান্ত কেউই নেই এখনও পর্যন্ত।"