উচ্চ মাধ্যমিকের অঙ্ক মানে বিজ্ঞানের ছাত্রদের কাছে একটু হলেও চাপ কম। কারণ, অঙ্ক নিয়ে নয়ছয় করার জায়গা খুব কম। যেহেতু উচ্চ মাধ্যমিক তাই এখানে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ খুব কম। তবে, অঙ্কের কোন কোন চ্যাপ্টার গুলো ভালভাবে অভ্যাস করলে ছাঁকা নম্বর আসবে?
অঙ্ক নিয়ে কি সত্যিই ভয় পাওয়ার কিছু আছে? নাকি অভ্যাস আর সূত্র ধরলেই কেল্লাফতে? উত্তর দিচ্ছেন মগরা উত্তমচন্দ্র হাই স্কুলের শিক্ষক রিপন রায়।
পরীক্ষার প্রশ্ন কেমন আসবে বলে মনে হচ্ছে?
অঙ্ক তো, খুব একটা এক্সপেরিমেন্ট হয় না। অন্তত সলভ করা অঙ্ক গুলোও যদি কেউ প্রাকটিস করে যায় তাহলেও কিন্তু অনেকটা সুবিধা হবে। বিশেষ করে এস এন দে - র যে বইটা আছে, সেটা দেখে গেলেও নম্বর পাওয়া খুব সহজ।
কিভাবে পরীক্ষার সময় লিখলে ভাল হয়?
প্রথম, গুছিয়ে করতে হবে অঙ্ক। স্টেপ বাদ না দিলেই ভাল। শুধু উত্তর মেলালে হল না। এদিকে একটু ধ্যান রাখতে হবে।
দ্বিতীয়, রাফ অবশ্যই পাশে করতে হবে। নাহলে শিক্ষকদের বুঝতে খুব অসুবিধা হয়।
তৃতীয়, অঙ্কের সাপেক্ষে যদি কোনও আঁকা থাকে। যেমন, লিনিয়ার প্রোগ্রামিং - এক্ষেত্রে ছবি আঁকা খুব গুরুত্বপূর্ন। কর্নার পয়েন্টগুলো একটু ঠিক করে দেখলে নম্বর ছাঁকা আসবে।
চতুর্থ, পার্ট নম্বর থাকে অঙ্কে। তাই কোনও অঙ্ক বাদ দিলে চলবে না। অনেকেই ভাবে শেষ অবধি মিলল না তাহলে হয়তো নম্বরই পাবে না। কিন্তু এটা নয়, নম্বর থাকে।
পঞ্চম, খাতায় কাটাকুটি না হলেই ভাল। আর নম্বর ঠিক করে দিতে হবে নাহলে খুঁজে পেতে খুব অসুবিধা হয়।
কোন চ্যাপ্টারগুলো বেশি ভাল করে করবে?
- সেরকমভাবে কোনও চ্যাপ্টার বাদ দিলে একেবারেই চলবে না। কিন্তু বেশ কিছু অঙ্ক আছে যেগুলো বাদ দিকে একেবারেই চলবে না। যেমন...
- ক্যালকুলাস রয়েছে, সব মিলিয়ে ৩৫ নম্বর। প্যাটার্ন একটু দেখে নিলেই হল, খুব একটা অসুবিধা হবে না।
- ইন্টিগ্রেশন এর ক্ষেত্রে C অর্থাৎ কনস্ট্যান্ট লিখতেই হবে। নাহলে নম্বর কাটা যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
- Matrix এবং determent এর ক্ষেত্রে পুরো নম্বর ওঠে। কিছুই না শুধু x, y, z এর মান বেরিয়ে গেলে সেটাকে সমীকরণে স্যাটিসফাই করালেই হল।
- তবে, হ্যাঁ আমি সবসময় আমার ছাত্রদের উপদেশ দি যে prove that - যে অঙ্কগুলো থাকে সেগুলো আগে করে নিয়ে তারপর পরের গুলো ধরতে। এক্ষেত্রে সমীকরণ মিললেই কাজ শেষ।