ইতিহাসে পাতিহাঁস? ইতিহাস মানেই ভয়ঙ্কর কিছু? প্রচুর মুখস্থ করতে হয়? এই ধারণাই থাকে অনেকের। কেউ কেউ ভালোবেসে পড়েন এই বিষয়টা আবার কেউ কেউ আছে, একেবারেই নিজেদের মন বসাতে পারেন না। স্থান, কাল, এবং সময় মনে রাখা সকলের পক্ষে খুবই কঠিন, আর পরীক্ষার খাতায় সঠিক তারিখ লিখে আসাও কিন্তু বিরাট চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু ইতিহাস নিয়ে কি আদৌ ভয় পাওয়ার দরকার?মুখস্থ করে নয়, ইতিহাসকে বুঝে নিলেই মাধ্যমিকে দারুণ ফল, ট্রিকস গুলো জেনে নিন।
ইতিহাস মানেই যে শুধু মুখস্থ আর মুখস্থ একথা একেবারেই ভুল। ইতিহাসকেও বুঝে নিয়ে মগজে ধরে রাখা যায়। অন্তত, পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে সেরকমই কিছু টিপস জানাচ্ছেন জনাই ট্রেনিং হাই স্কুলের শিক্ষক ডক্টর তন্ময় কুমার ঘোষ।
প্রশ্ন কেমন আসতে পারে?
প্রশ্ন, খুব কঠিন তো কোনওদিন আসে না। অনেক সময় শেষ বছরের প্রশ্ন রিপিট ও করে। তাই শেষ ৫ বছরের প্রশ্নপত্র, টেস্ট পেপার একবার দেখে নেওয়া ভাল। আশা করছি এবারও ভালই আসবে। সবার লেখার মত আসবে।
কিভাবে প্রিপারেশন নিলে ভাল?
- প্রথম, এখন বড় প্রশ্ন ওদের খুব কম লিখতে হয়। ৪ নম্বরের ছয়টা এবং ৮ নম্বরের একটি প্রশ্ন লিখতে হয়। সুতরাং যেটা করতে হবে সেটা হল, ভাল করে বইটা পড়তে হবে। সমস্ত উত্তর কিন্তু ওখানেই লেখা আছে। বই বাদ দিলে একেবারেই চলবে না।
- দ্বিতীয়, জিকজাক ভাবে না পড়ে যেটা মাথায় রাখতে হবে যে ক্রনলোজিকালি একটা বিষয় পড়া। কারণ এভাবেই ইতিহাস মনে রাখা সহজ। অর্থাৎ, উদাহরণ স্বরূপ, বাবর দিয়ে শুরু করলে কিভাবে মুঘল সাম্রাজ্য এল, তার বিস্তার এবং শেষে বাবরের মৃত্যু এভাবে মনে রাখা সহজ। বাবর, হুমায়ূন, আকবর একসঙ্গে মনে রাখতে গেলে তারিখ গুলিয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক।
- তৃতীয়, এখন পরীক্ষায় শর্ট প্রশ্নের একটা বিষয় আছে। আমি সকলকে একটা কথাই বলব, যে খাতায় আলাদা করে শর্ট প্রশ্ন লিখে রাখা তারপর ওটা পরেই পড়তে আসা এটা করবেন না। তাঁর থেকে বই পড়ুন। এটা করতে গিয়ে অনেক টপিক মিস হয়ে যায়।
- চতুর্থ, শুধু পড়লেই হবে না। সিলেবাসে জানানো রয়েছে কোন কোন বিভাগ থেকে কিরকম প্রশ্ন আসবে। কোনটা থেকে MCQ আসবে, SEQ আসবে, সেই অনুযায়ী প্রিপারেশন নাও। উত্তর লিখে প্র্যাকটিস করা খুব দরকার। একটা উত্তরকে যদি পয়েন্ট হিসেবে ওরা মনে রাখে তাহলে কিন্তু খুব সুবিধা।
আরও পড়ুন < ভূগোলে নম্বর পাওয়ার সহজ উপায় জানা আছে? মাধ্যমিকের আগে জেনে নিন সেসব ট্রিক >
পরীক্ষার হলে যে বিষয়গুলিতে নজর রাখবে?
১. বড় প্রশ্নের ক্ষেত্রে একটা উত্তরকে তিনটে ভাগে ভাগ করা উচিত। ভূমিকা, বডি এবং উপসংহার। বডিতে পয়েন্ট আউট করে দেওয়া ভাল। যদি কেউ প্যারাগ্রাফ ভাবেও লেখে তাহলেও কোনও অসুবিধা নেই।
২. গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা একটু হাইলাইট করে দিক। একেবারেই হলুদ রঙের হাইলাইটার দিয়ে নয়, আন্ডারলাইন করে দিলেই হবে। এতে পরীক্ষকের নজরে পড়ে।
৩. আর যেটা করলে ভাল হয়, সেটা হল সাব ডিভিশন। কোনও একটা প্রশ্নের উত্তর মনে রাখতে গেলে বা পরীক্ষার খাতায় ঠিক করে লিখতে গেলে সেই উত্তরকে পয়েন্ট হিসেবে মনে রাখা ভাল। উত্তরের সাপেক্ষে কয়টি ভাগ করা যায় সেটি নিজেকে বুঝে নিতে হবে।
৪. খাতা পরিষ্কার রাখা ভাল। তাঁর সঙ্গে দুটো শর্ট প্রশ্নের পর, একটা বড় উত্তর লিখে ফেললাম এটা যেন না হয়। তাতে খুব মুশকিল। আর যেটা করবে, বড় প্রশ্ন মানেই যে পাতার পর পাতা লিখতে হবে এটা নয়। সঠিক টুকু লিখলেই হল।