হোমিওপ্যাথি- চিকিৎসা শাস্ত্রের এক শ্রেষ্ঠ অবদান। বহু প্রাচীন যুগ থেকে মানুষ এর আশ্রয় নিয়ে আসছেন তার কারণ, বহু জটিল রোগ এই হোমিওপ্যাথির দ্বারা সেরে উঠতে পারে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া একেবারেই থাকে না। দীর্ঘসময়ের চিকিৎসার পরেই কিন্তু শরীরের সমস্যা একেবারেই কমে যেতে পারে।
হোমিওপ্যাথির গ্রহণযোগ্যতা সাধারণ মানুষের জীবনে খুবই বেশি। বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে আয়ুশ মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল বলেন, মেডিক্যাল পড়ুয়াদের এই চিকিৎসায় আগ্রহ ক্রমশই বাড়ছে, তারাও নিজেদের শিক্ষায় এটিকে অন্তর্ভুক্ত করতে ইচ্ছুক। আগামী দিনে এটিই হতে পারে মেডিসিনের পড়ুয়াদের প্রথম পছন্দ। আয়ুশ কিংবা AYUSH অর্থাৎ আয়ুর্বেদ, যোগা, উনানী, সিদ্ধ এবং হোমিওপ্যাথি - এই সংক্রান্ত অনুশীলন, এর শিক্ষা, ওষুধের বিকাশে ক্রমশই জোর দিচ্ছে। রোগের সঙ্গে লড়তে আরও রূপান্তর করা হচ্ছে, নতুন ধরনের ওষুধ আনা হচ্ছে চিকিৎসার জগতে। তার ডোজের মাত্রা যেমন কম তেমনই কার্যকরী।
ন্যাশনাল কমিশন ফর ইন্ডিয়ান সিস্টেম অফ মেডিসিন এবং ন্যাশনাল কমিশন ফর হোমিওপ্যাথি - সম্পূর্ন নতুন শিক্ষানীতি গঠন করেছে। ছেলেমেয়েরা এর প্রতি আগ্রহ পাচ্ছে। চিকিৎসার এক নতুন মাত্রা খুলে যাচ্ছে, ফলেই মেডিক্যাল শিক্ষায় দিনের পর দিন এর অগ্রগতি দেখা দিচ্ছে। সবথেকে বড় কথা এই ওষুধের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, সব ধরনের মানুষ এটিকে সেবন করতে পারেন। সহজে উপলভ্য এবং যেকোনও রোগ নির্মূল করতে পারে।
অনেকেই এমন আছেন যারা, অ্যালোপ্যাথি নয় বরং হোমিওপ্যাথিতে বিশ্বাস করেন। বংশ পরম্পরায় তারা একই চিকিৎসকের থেকে ওষুধ নিয়ে সুস্থ বোধ করেন। এই চিকিৎসা একদিকে যেমন নিরাপদ তেমনই খরচ খুব একটা হয় না। সুস্থতাই আসল - চিকিৎসার অন্যতম এই থেরাপি পুরনো হলেও নতুন ধরনের আবিষ্কার এর মানকে আরও উন্নত করে তুলছে।