মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক ২৮ শে মে দুপুর ৩ টের সময় ৪৫,০০০ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি কথোপকথন করেন। ন্যাশেনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (এনএএসি) সম্পূর্ণ আলোচনাটি পর্যালোচনা করে।এইচআরডি মন্ত্রী শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। কথোপকথন মন্ত্রীর ফেসবুক এবং টুইটার উভয় হ্যান্ডেল থেকেই সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
লাইভে মন্ত্রী বলেন, জুলাই মাসের শেষার্ধে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা। যে অঞ্চলে পরিস্থিতি উন্নত হয়নি, সে সমস্ত অ়ঞ্চলে পরীক্ষা পিছিয়ে যেতে পারে অথবা তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষার নম্বর ও ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে চতুর্থ সেমিস্টারের নম্বর দিতে পারে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।
বিদেশ থেকে ভারতে পড়তে আসা ও ভারত থেকে বিদেশে পড়তে যাওয়া পড়ুয়াদের সংখ্যা প্রায় ৭.৫ লাখ। তাদের জন্য অনলাইন কোর্স চালু করা হচ্ছে। লকডাউনের কারণে বিদেশ থেকে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদের কাছে ভারতের শিক্ষকদের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে।
ফাইলান পরীক্ষা কখন অনুষ্ঠিত হতে পারে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ইউজিসি একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। মন্ত্রী এদিন বলনে, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমরা অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করতে পারি, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ৫০ শতাংশ এবং পূর্ববর্তী একাডেমিক রেকর্ডের ভিত্তিতে পাশ করানো হবে। তবে, ফাইনাল সেমিস্টারের জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করেন এইচআরডি মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা পৌঁছে দিতে যথাসম্ভব চেষ্টা করছে। এই লাইভে মন্ত্রী উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের জন্য বেশ কয়েকটি ঘোষণা করেছেন। সরকার ইয়াংইয়াংয়ে সিকিম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য ৯৮৬ কোটি টাকা ও সিকিম সরকার ৩০০ একর জমি বরাদ্দ করেছে।
এদিন লাইভে মন্ত্রী বলেন, "তক্ষশিলা এবং নালন্দা আমাদের গর্ব ছিল। এগুলি কেবল ভারতে নয় আন্তর্জাতিক স্তরেও শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ছিল। এখন, আমরা আবার সেই গৌরব অর্জনের লক্ষ্য উপনীত হয়েছি। নতুন ভারত এবং নতুন শিক্ষানীতিতে জোর দেওয়া হবে। নতুন ধারণা, বিজ্ঞান এবং গবেষণা মূল বিষয় হয়ে উঠবে। এরজন্য আমরা শিক্ষা ও অর্থনীতির সকল স্তরের লক্ষ লক্ষ মানুষের মতামত ও পরামর্শ একত্রিত করছি"।