/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/05/IAS-Surabhi-Gautam.jpg)
IAS Surabhi Gautam: ২০১৬ সালে UPSC পরীক্ষায় গোটা দেশের মধ্যে ৫০ ব়্যাঙ্ক পান সুরভী গৌতম।
IAS Surabhi Gautam: UPSC পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য ইংরাজি জানাটা খুব জরুরি। মাতৃভাষার মতো ইংরাজিতেও জোর দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ইংরাজি না জানার জন্য প্রতিদিন বিদ্রুপ সহ্য করতে হত গ্রামের মেয়ে সুরভী গৌতমকে। সেই বাধাকে অতিক্রম করে কীভাবে হয়ে উঠলেন IAS অফিসার, আজ সেই গল্প জানাব আপনাকে।
মধ্যপ্রদেশের ছোট্ট গ্রামে বড় হয়ে উঠেছেন সুরভী গৌতম। ছোটবেলা থেকে অত্যাশ্চর্য প্রতিভার অধিকারী ছিলেন সুরভী। ব্যতিক্রমী ছিলেন। শৈশব থেকেই মেধার প্রকাশ ঘটে তাঁর। স্কুলে পাঠরতা অবস্থায় বরাবর ব়্যাঙ্ক করতেন। ক্লাসে প্রথম হতেন বরাবর। দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাতেও ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন।
স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেন সুরভী। সেই পরীক্ষাতেও সসম্মানে উত্তীর্ণ হন। শুধু তাই নয়, গ্রামের প্রথম মহিলা হিসাবে উচ্চশিক্ষার জন্য শহরে পড়াশোনা করার সুযোগ পান। এর পর ভোপালের কলেজ থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনে স্নাতক হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক পান।
UPSC পরীক্ষার আগে আরও অনেক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হন সুরভী। গেট, বার্ক, ইসরো, সেইল, এসএসসি সিজিএল, আইইএস, দিল্লি পুলিশ, এফসিআই ইত্যাদি পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হন। কিন্তু এত সাফল্য সত্ত্বেও একটি বিষয়ে তাঁর খামতি রয়ে যায়। সেটা হন ইংরাজি। ছোট্ট গ্রামে বড় হওয়ার কারণে ইংরাজিতে দুর্বল ছিলেন। ভাল ইংরাজি বলতে পারতেন না।
ইংরাজির কারণে অনেক বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়েছে তাঁর। আর সেই দুর্বলতাকেই নিজের শক্তিতে পরিণত করেন সুরভী। প্রতিদিন ১০টা করে নতুন শব্দ শিখতেন তিনি। ধীরে ধীরে নিজের কমিউনিকেশন স্কিল উন্নত করেন। ২০১৬ সালে UPSC পরীক্ষায় গোটা দেশের মধ্যে ৫০ ব়্যাঙ্ক পান তিনি। মাত্র ২১ বছর বয়সেই পরীক্ষায় সাফল্য পান। বর্তমানে আমেদাবাদে অ্যাসিস্ট্যান্ট কালেক্টরের পদে কর্মরত সুরভী।