Advertisment

অর্থের অভাবে 'হোঁচট' আইআইটি ও আইআইএসসি-র, বরাদ্দ খরচ হয়নি বলে দাবি সরকারের

'অভিযোগ সত্য নয়। যে অর্থ তাদের আগে দেওয়া হয়েছে তা খরচ না করলে পরবর্তী পর্যায়ে সাহায্য করা যায় না।' দাবি সরকারের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অর্থের অভাবে কাজের গতি থমকে গিয়েছে দিল্লি ও মুম্বই আইআইটি ও বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের।

অর্থের অভাবে কাজের গতি থমকে গিয়েছে দিল্লি ও মুম্বই আইআইটি ও বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের। মানব সম্পদ উন্নয় মন্ত্রকের থেকে ২০১৮ সালের জুলাইতেই 'ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্সের' তকমা পেয়েছে এই তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যেই অর্থাভাবের কথা বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটিকে জানিয়েছে দিল্লি, মুম্বই আইআইটি ও বেঙ্গালুরু আইআইএসসি-র। দেশের নামজাদা ও অগ্রগণ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলির অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ 'বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি' ও কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisment

'ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্সের' তকমা থাকার কারণে আগামী পাঁচ বছরে এই তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটির জন্য হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির নজরদারিতে মানব সম্পদ মন্ত্রক এই অর্থ দেবে বলে স্থির হয়। সেই বরাদ্দ খুবই কম পরিমান ও দেরিতে মিলছে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ কমাতে কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মেলাল বিভিন্ন আইআইটি

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জুলাই মাসের পর থেকে দিল্লি আইআইটি ও বেঙ্গালুরু আইআইএসসি যথাক্রমে ২০০ কোটি টাকা দাবি করে উচ্চ শিক্ষা সহ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কাজের জন্য। এক্ষেত্রে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে যথাক্রমে, ৯৩ ও ৭৮ কোটি টাকা। মুম্বই আইআইএনই-কে এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ৪৩ কোটি। আরও বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হলেও তা মিলছে না। অভিযোগ এই তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।

publive-image

এবিষয়ে, বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির প্রধান এন গোপালস্বামী বলেন, 'অভিযোগ সত্য নয়। যে অর্থ তাদের আগে দেওয়া হয়েছে তা খরচ না করলে পরবর্তী পর্যায়ে সাহায্য করা যায় না।' সানডে এক্সপ্রেসকে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের এক অফিসার বলেন, 'অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এক্ষেত্রে আগে দেওয়া অর্থের কতটা খরচ হয়েছে তা দেখা হয়। খরচের পরিমান যদি ৮০ শতাংশের কম হয় তবে অর্থাৎ তহবিলে যদি ২০ শতাংশের বেশি অর্থ অবশিষ্ঠ থাকে ততক্ষণ আর টাকা দেওয়া যায় না।' ওই তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের। মানব সম্পদ উন্নয় মন্ত্রকের তথ্য অনুশারে সানডে এক্সপ্রেস জানতে পারে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, আইআইটি দিল্লি ও মুম্বইয়ের তহবিলে পড়ে রয়েছে যথাক্রমে ৭৩.৫৪ ও ৪২.৯৭ কোটি টাকা। বেঙ্গালুরু আইআইএসসি-র তহবিলে রয়েছে ৫৬.৫৩ কোটি। অর্থাৎ আগের বরাদ্দকৃত অর্থের সিংহভাগই খরচ হয়ে ওঠেনি।

আরও পড়ুন: টাইমসের বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা; দেশের সেরা আইআইএসসি বেঙ্গালুরু

বিষয়টি মেনে নিয়েছে দেশের অগ্রগণ্য এই তিন প্রতিষ্ঠানের কর্তারা। তবে, তাদের দাবি এই প্রথার বদল প্রয়োজন। অন্তত, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম শিথিল করা দরকার। তাদের যুক্তি, ধাপে ধাপে বরাদ্দ অর্থ দেওয়া হলে এক লপ্তে বড় প্রকল্পে হাত দেওয়া যায় না। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়নের কাজ।

জানা গিয়েছে, অচিরেই দিল্লি ও মুম্বই আইআইটি ও বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের থেকে আগের বরাদ্দ অর্থ খরচের খতিয়ান জানতে চাইবে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।

Read the full story in English

IIT
Advertisment