Advertisment

সহকর্মীদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ, দলিত শিক্ষকের গবেষণাপত্র বাতিল করার পথে আইআইটি কানপুর

২০১৮ সালে অধ্যাপকদের উদ্দেশে নাম প্রকাশ না করে একটি মেইল করা হয়। তাতেই সুব্রহ্মণ্যম সদরেলার বিরুদ্ধে প্লেজিয়ারিজমের অভিযোগ করা হয়। হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রতিষ্ঠানের নিয়ম লঙ্ঘন করার অপরাধে চার শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ডিজার্টেশন পেপারে অন্যের লেখা চুরির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের ৪ সহকর্মীদের কাছে হেনস্থা এবং বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছিল কেরালার এই শিক্ষককে। অভিযোগ জানানোয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বাতিল করেছে তাঁর ডিজার্টেশন পেপার। তিনি সুব্রহ্মণ্যম সদরেলা। যদিও আইআইটি কানপুরের অ্যাকাডেমিক এথিক্স সেল বলেছে, "পিএইচডি ডিজার্টেশন প্রত্যাহারের কোনও কারণ নেই"।

Advertisment

২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপকদের উদ্দেশে নাম প্রকাশ না করে একটি মেইল করা হয়। তাতেই সুব্রহ্মণ্যম সদরেলার বিরুদ্ধে প্লেজিয়ারিজমের অভিযোগ করা হয়। তদন্তের মাস দুয়েক পরে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রতিষ্ঠানের নিয়ম লঙ্ঘন করার অপরাধে চার শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করে।

সেনেটের প্রস্তাব খুব শিগগির পেশ করা হবে বোর্ড অব গভরনর্সদের কাছে। আইআইটি কানপুরের শিক্ষাগত যাবতীয় প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতা রয়েছে সেনেটের কাছেই। সেনেটের প্রধান পদে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর।

আরও পড়ুন, Lok Sabha Election 2019: নকুলদানা বিলোলেন অনুব্রত

গভর্নরদের বোর্ড যদি সেনেটের প্রস্তাব পাশ করে, তবে বাতিল করে দেওয়া হবে সরদেলার ডিজার্টেশন পেপার, যার ফলে আইআইটি কানপুরের শিক্ষক হিসেবে চাকরি খোয়াবেন সরদেলা। ইন্সটিটিউট অব অ্যারোনটিকাল ইঞ্জিনিয়রিং থেকে বি টেক করে আইআইটি কানপুর থেকেই এম টেক এবং পিএইচডি করেছেন সুব্রহ্মণ্যম সদরেলা।

প্রতিষ্ঠানের এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়রিং বিভাগে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি যোগ দেন সরদেলা। তাঁর অভিযোগ ১২ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানের ৪ সহকর্মী তাঁর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করে হেনস্থা করেন। ঘটনার তদন্তের পর ৮ মার্চ, ২০১৮ তে ওই ৪ জন শিক্ষক দোষী সাব্যস্ত হয়।

আইআইটি কানপুরের পরিচালন কমিটির তরফে ফের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১৮-র আগস্টে এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবার রায় দিলেন , ওই ৪ সহকর্মী প্রতিষ্ঠানের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন ঠিকই, কিন্তু তফশিলি জাতি-উপজাতি আইন লঙ্ঘন করেননি। নভেম্বর মাসে ওই চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন সদরেলা। তাতে স্থগিতাদেশ জারি করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

নাম প্রকাশ না করে সদরেলার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে পিএইচডি থিসিসে তিনি অন্য তিন সহকর্মীর লেখার অংশ চুরি করেছেন। আইআইটি কানপুরের অ্যাকাডেমিক এথিক্স সেল কে প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর অভয় করণদিকর জানিয়েছেন প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ সত্য। এথিক্স সেল অবশ্য ডিজার্টেশন পেপার পরীক্ষা করে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Read the full story in English

IIT
Advertisment