ইন্ডিয়ান ইনস্টিট্যুট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) খড়গপুর তাদের ফ্যাকাল্টি সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার সম্পর্কে সমালোচনামূলক রেডিও ব্রডকাস্ট ও লেখালিখিতে যুক্ত হতে পারেন না। তবে তাঁরা সাহিত্য বা বিজ্ঞান বিষয়ে লিখতে পারেন বলে সাম্প্রতিক এক সার্কুলারে জানানো হয়েছে।
রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে রেজিস্ট্রার বি এন সিং বলেন, “এটা কোনও নতুন নোটিস নয়। পুরনো একটি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা থেকে মূল বিষয় উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সময়ে নতুন নিয়োজিতদের জানানো হয়, কারণ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সার্ভিস কন্ডাক্টরুল তাঁদের না-ও জানা থাকতে পারে।” এটা কোনও “কণ্ঠরোধকারী নির্দেশ” নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
৫ জুন তারিখের আইআইটি খড়গপুরের নির্দেশিকায় রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “বিভিন্ন সময়ে দেখা যাচ্ছে সংস্থার কর্মীরা তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি মুদ্রিত মাধ্যম বা সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করছেন। এটা ঘটনা যে মিডিয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অংশ... তবে মিডিয়ায় প্রকাশিত কিছু বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের নীতি বা কাজকর্মের এবং কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের বা কোনও সংস্থা বা সংগঠনের বা সরকারি কর্মীর প্রতিকূল সমালোচনা খবর পাওয়া গিয়েছে।”
আরও পড়ুন, আইআইটি খড়গপুর ভারতের এক নম্বর আর্কিটেকচার ইনস্টিটিউট, ঘোষণা করল মন্ত্রক
এই নোটিফিকেশনে বহু বছরের পুরনো কন্ডাক্ট রুল উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে কোনও কর্মী প্রতিষ্ঠানের বর্তমান নীতি বা কাজকর্মের প্রতিকূল সমালোচনামূলক বা কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রতিষ্ঠানে সম্পর্ক ব্যাহতকারী কোনও রেডিও প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না অথবা স্বনামে বা বেনামে কোনও লেখা প্রকাশ করতে পারবেন না বা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলতে পারবেন না।
সার্কুলারে একই সঙ্গে বলা হয়েছে নিজেদের বৈজ্ঞানিক কাজকর্ম ভারতের বা বিদেশের কোনও জার্নালে প্রকাশ করার ব্যাপারে কোনও বিধিনিষেধ নেই। তবে সেগুলিতে কোনও রাজনীতির ছোঁয়া থাকা চলবে না।
রেজিস্ট্রার দাবি করেছেন এই সার্কুলারের সঙ্গে সাম্প্রতিক কোনও ঘটনার যোগ নেই।
আইআইটি খড়গপুরের এক সূত্র জানিয়েছে এ ধরনের সার্কুলার মাঝেমাঝেই জারি করা হয়। সূত্রের কথায়, “যাঁরা ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে নিজেদের সংস্থাগত পরিচয় দেন, তাঁদের পোস্ট, কমেন্ট তাঁদের ফলোয়ারদের কাছে সরকারি পরিচয়ের বাহক হতে পারে। এ ব্যাপারে কোনও নজরদারি না থাকলেও কর্তৃপক্ষ আশা করেন সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সময়ে তাঁরা বিচক্ষণতার পরিচয় দেবেন।”