ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) দ্বাদশ শ্রেণিরইতিহাস, সিভিকস, বিজ্ঞান এবং হিন্দি পাঠ্যক্রমে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। ইতিহাসের সিলেবাস থেকে থেকে মুঘল সাম্রাজ্য সম্পর্কিত অধ্যায়গুলিকে বাদ দেওয়া হয়েছে আবার হিন্দি বই থেকে কিছু কবিতা ও অনুচ্ছেদও সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নয়া এই সিলেবাস অনুসারে দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসে আর থাকছে না মুঘল সাম্রাজ্য।
কিংস এবং ক্রনিকলস মুঘল কোর্ট (সি. ১৬ এবং ১৭ শতক)- এই অধ্যায়টি দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তক থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, হিন্দি পাঠ্যপুস্তক থেকেও বেশ কিছু কবিতা ও অনুচ্ছেদও বাদ পড়তে পারে। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হবে। এর পাশাপাশি সিভিকস বইয়েও বাদ পড়তে চলেছে বেশ কিছু বিষয়। 'বিশ্ব রাজনীতিতে আমেরিকান আধিপত্য এবং ঠাণ্ডা যুদ্ধের’ মত বিষয়গুলিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণীর 'স্বাধীনতার পরে ভারতীয় রাজনীতি' থেকে 'জনপ্রিয় আন্দোলনের উত্থান' এবং 'এক পক্ষের আধিপত্যের যুগ' নামে দুটি অধ্যায়ও পরিবর্তন করা হয়েছে।
পাশাপাশি দশম এবং একাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকেও পরিবর্তন করা হয়েছে, যেমন 'গণতন্ত্র এবং বৈচিত্র্য', 'জনপ্রিয় সংগ্রাম ও আন্দোলন' এবং 'গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ' বিষয়ক অধ্যায়গুলি দশম শ্রেণির বই 'গণতান্ত্রিক রাজনীতি- ২' থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনসিইআরটি অনুসারে, সিলেবাসের পরিবর্তন সারা দেশের সমস্ত স্কুলে প্রযোজ্য হবে যেখানে এনসিইআরটি বই পড়ানো হচ্ছে। CBSE এবং উত্তরপ্রদেশ বোর্ড সহ অন্যান্য অনেক বোর্ড NCERT বইগুলিকে স্বীকৃতি দেয়। গত কয়েক বছরে, এনসিইআরটি তার পাঠ্যক্রমের বিষয়বস্তু এবং তত্ত্বে অনেক পরিবর্তন করেছে, যদিও ইতিহাস সম্পর্কিত বিষয়গুলিকে মুছে ফেলার জন্য বহুবার সমালোচনার মুখে পড়েছে NCERT। তবে সিলেবাস পরিবর্তন এটাই প্রথমবার নয়। এর আগে ইউপিএ সরকারের আমলেও সিলেবাসে রদবদল আনা হয়।
সরকার বলছে, পড়ুয়াদের ওপর পড়াশুনার চাপ কমানোর পাশাপাশি ‘ডুপ্লিকেশন এবং ওভারল্যাপিং’ এর সমস্যা দূর করতে সিলেবাসে এই বদল করা হয়েছে। তবে সমালোচকরা দাবি করেন যে, মূলত সমাজ বিজ্ঞান এবং ইতিহাসের বইয়ে্র এই কাটছাঁটে রয়েছে রাজনীতির গন্ধ।