করোনার জেরে যেন সব দিকই বদলে গিয়েছে। এমনকী বদলে গিয়েছে পড়ুয়াদের বিদেশে পড়াশুনো করার ইচ্ছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেনের মত প্রিয় গন্তব্যগুলিতে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। এই সকল দেশের আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে অ্যাপ্লিকেশনের সংখ্যা এবার চোখে পড়ার মতো কমেছে।
বরং অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় দেশেই পড়াশুনো করতে যেতে আগ্রহ দেখিয়েছে পড়ুয়ারা। সুইডেন দূতাবাস দাবি করেছে যে তাদের দেশে আন্তর্জাতিক ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার আগ্রহ ১৩ শতাংশ বেড়েছে। সেই দেশে স্নাতক কোর্সে আবেদনের জন্য ভারতীয়দের সংখ্যা ২০১৯ সালে ছিল ৩৫২৬। যা এবছর বেড়ে হয়েছে ৬৮১১। দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, স্নাতকোত্তরে ভারতীয় অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে আবেদনকারীদের সংখ্যা সামান্য হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অ্যাপ্লিকেশন জমা পড়েছে। ইসরায়েলের হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বছর ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদনের তুলনায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে জাতীয় শিক্ষানীতি চালুর পর পরই বড়সড় সাফল্যর মুখ দেখছে শিক্ষাক্ষেত্র। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে (আইআইটি) একটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে নিউজিল্যান্ড এমনটাই জানা গিয়েছে। "নিউজিল্যান্ড এবং ভারতের মধ্যে শিক্ষাগত সম্পর্ককে আরও বাড়িয়ে তুলবে", সে আশা রেখেছে দুই দেশই। এটি ভারত সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) এর একটি অংশ যা বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলিকে ভারতে ক্যাম্পাস স্থাপনের অনুমতি দেয়। নিউজিল্যান্ডের মুখপাত্র বলেছেন “এই উদ্যোগ দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা সহযোগিতার জন্য প্রকল্পগুলি আলোচনা এবং বিকাশের জন্য উভয় দেশের শিক্ষাবিদদের সংযুক্ত করেছে। আমরা ভারতের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিকে স্বাগত জানাই যা এ জাতীয় আরও একাডেমিক এবং গবেষণামূলক প্রচেষ্টার পথকে আরও প্রশস্ত করে”।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন