যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে ধুন্ধুমার। হাজিরা খাতায় সই করা নিয়েই বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে ঝামেলা, একপর্যায়ে তাঁকে শারীরিক হেনস্থা পর্যন্ত করা হয়। অভিযোগ উঠেছে যাদবপুরের তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির নেতা বিনয় সিংহ এবং রসায়ন বিভাগের শিক্ষাকর্মী উদয়ভান সিংহের বিরুদ্ধে।
কি ঘটেছে আসলে? যাদবপুরের রসায়ন বিভাগে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন স্বপনকুমার ভট্টাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেরি করে আসায় শিক্ষাকর্মী উদয়ভান সিংহকে প্রথমার্ধের বদলে দ্বিতীয়ার্ধে সই করার কথা বলেন স্বপন বাবু। শুধু তাই নয় ক্লাসরুম খোলার কথা বলা হলেও সেই কাজ তিনি করেন নি। কার্যত নিজেই ক্লাসরুম খোলেন স্বপন বাবু। পরেই সেই শিক্ষাকর্মী বিনয় এবং তাঁর দলবলকে ডেকে আনেন। অভিযোগ, প্রথম হাফে সই করতে কেন দেওয়া হবে না, সেই কারণেই তাঁরা শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অত্যাচার করেন স্বপন ভট্টাচার্যর ওপর।
একজন বিভাগীয় প্রধানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, সঙ্গে হাজিরার খাতা কেড়ে নেওয়ার পর্যন্ত চেষ্টা করা হয়। স্বপন বাবুকে হেনস্থার অভিযোগে তদন্ত করা হবে বলেই জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত যে ক্লাসগুলোতে পঠনপাঠন হয় সেখানে ঢুকতে পারবেন না উদয়ভান, এমনটাই জানানো হয়েছে। তবে এপ্রসঙ্গে, নিজের ওপর আরোপিত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিনয় সিংহ।
ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকরা দলে দলে সামিল হয়েছিলেন। সম্পাদক পার্থ প্রতীম রায় জানিয়েছেন, একজন বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে এহেন আচরণ একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। এদিকে, বিনয়ের বক্তব্য, হাজিরা খাতায় সই করতে না দিয়ে একটি অগণতান্ত্রিক কাজ করেছেন স্বপন কুমার ভট্টাচার্য। বিনয় সিংহের বিরুদ্ধে একটি নয় বরং অনেক অভিযোগ রয়েছে অধ্যাপক তথা বিভাগীয় প্রধানদের তরফে। তার এই আচরণ এবং দুর্ব্যবহারের কারণ জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।