জেএনইউ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক জয় পেল বাম ছাত্রদের জোট। প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, জেনারেল সেক্রেটারি ও জয়েন্ট সেক্রেটারি, চারটি পদেই জিতেছেন বামপন্থীরা। এন সাই বালাজি প্রেসিডেন্ট, সারিকা চৌধুরী ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইজাজ আহমেদ রাথার জেনারেল সেক্রেটারি এবং অমুথা জয়াদীপ জয়েন্ট সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলির মধ্যে এ বছরই জেএনইউ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছিল। ৬৮ শতাংশ ছাত্রছাত্রীরা ভোট দিয়েছেন এ বছর। শুক্রবার শুরু হয়েছিল ভোট গণনা। শনিবার প্রায় ১৪ ঘণ্টা ভোট গোণার কাজ বন্ধ থাকে। এবিভিপি-র তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, নির্বাচন কমিটি রিগিংয়ের চেষ্টা করছে।
৬৮ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ভোট দিয়েছেন এ বছর। (ফোটো- তাশি তাবগিয়াল)
শনিবার বেশি রাতে খবর রটে একটি ছাত্র সংগঠনের লোকজন জড়ো করে লাঠি ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে জেএনইউ-এর দিকে রওনা দিয়েছে। তবে পুলিশের তরফ থেকে জনতার কাছে গুজব প্রতিহত করার আবেদন জানানো হয়েছে।
সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকাতে জেএনইউ-এর ছাত্র-ছাত্রীরাও অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের ক্যাম্পাসে জড়ো হওয়ার ব্যাপারে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করেন। জেএনইউ ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শতরূপা চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, বসন্ত কুঞ্জ নর্থ থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর তিনি ও তাঁর তিন সঙ্গী অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের দ্বারা প্রহৃত হয়েছেন। এস এফ আই ও এবিভিপি-র মধ্যে ঘটা সংঘর্ষের জেরে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তিনি।
রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢোকে একটি পুলিশ ভ্যান। জানা গিয়েছে, একজন নিরাপত্তাকর্মী ফোন করে পুলিশকে জানান, এবিভিপি-র এক নির্বাচনপ্রার্থীর একটি স্করপিও গাড়ি ক্যাম্পাসে ঢুকে জোর করে এক ছাত্রকে তুলে নিয়ে যায়। তবে এবিভিপি-র সৌরভ শর্মা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। এরকম কিছুই ঘটেনি। আমরা কাউকে জড়ো করিনি। এসব বামপন্থীদের ছড়ানো গুজব।’’