Advertisment

জেএনইউ-য়ে ভোটগণনা ঘিরে অশান্তি

শনিবার বেশি রাতে খবর রটে একটি ছাত্র সংগঠনের লোকজন জড়ো করে লাঠি ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে জেএনইউ-এর দিকে রওনা দিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জেএনইউ ছাত্র সংসদের ভোটে চারটি বাম ছাত্র সংগঠন একযোগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে (ফোটো- অমিত মেহরা)

জেএনইউ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ১৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে ভোটগণনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে এলাকার ডিসিপি, তিনজন এসিপি, পাঁচজন ইনসপেক্টর ও দু কোম্পানি সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisment
 এর আগে এবিভিপি অভিযোগ করে, ইলেকশন কমিটি ভোটে রিগিং করার চেষ্টা করছে। শনিবার বেশি রাতে খবর রটে একটি ছাত্র সংগঠনের লোকজন জড়ো করে লাঠি ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে জেএনইউ-এর দিকে রওনা দিয়েছে। তবে পুলিশের তরফ থেকে জনতার কাছে গুজব প্রতিহত করার আবেদন জানানো হয়েছে।

সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকাতে জেএনইউ-এর ছাত্র-ছাত্রীরাও অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের ক্যাম্পাসে জড়ো হওয়ার ব্যাপারে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করেন। জেএনইউ ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শতরূপা চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, বসন্ত কুঞ্জ নর্থ থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর তিনি ও তাঁর তিন সঙ্গী অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের দ্বারা প্রহৃত হয়েছেন। এস এফ আই ও এবিভিপি-র মধ্যে ঘটা সংঘর্ষের জেরে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তিনি।

রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢোকে একটি পুলিশ ভ্যান। জানা গিয়েছে, একজন নিরাপত্তাকর্মী ফোন করে পুলিশকে জানান, এবিভিপি-র এক নির্বাচনপ্রার্থীর একটি স্করপিও গাড়ি ক্যাম্পাসে ঢুকে জোর করে এক ছাত্রকে তুলে নিয়ে যায়। তবে এবিভিপি-র সৌরভ শর্মা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। এরকম কিছুই ঘটেনি। আমরা কাউকে জড়ো করিনি। এসব বামপন্থীদের ছড়ানো গুজব।’’ ডিসিপি দেবেন্দ্র আর্য জানিয়েছেন, ‘‘ভোটগণনা চলছে। আমরা সমস্ত গেটের সামনে রয়েছি। কোনও ঘটনা ঘটেনি।

শুক্রবার এবিভিপি-র সদস্যরা ভোটগণনা কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সে সময়েও একবার বন্ধ হয়ে যায় ভোট গণনা।

JNU
Advertisment