ফের ধুন্ধুমার বাঁধল রাজ্যের আরেক শিক্ষা প্রাঙ্গণে। বৃহস্পতিবার অশান্তির আঁচ এসে পৌঁছল কল্যাণী বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে৷ বুধবার বিকেল থেকে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ প্রাঙ্গণ৷ ৬ সেপ্টেম্বর থেকে একাধিক দাবিতে আন্দোলন বসেছিলেন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যেবেলা হঠাৎই প্রায় পঞ্চাশজন বহিরাগত মুখে কালো কাপড় বেঁধে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর লাঠি এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছাত্রদের প্রচণ্ড মারধরের পাশাপাশি মহিলাদেরও মারধর ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ওই বহিরাগতরা।
আরও পড়ুন: প্রশাসনিক হস্তক্ষেপেও অচলাবস্থা কাটল না গনি খান চৌধুরি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে
পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ করতে গেলে আরও ঝামেলার সৃষ্টি হয়। ভয়ানকভাবেই আক্রান্ত হন ছাত্রছাত্রীদের৷ তাঁদের কথায়, পুলিশের উপস্থিতিতেই মারধর চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা৷ পরিস্থিতি এরপর আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এবং পুলিশকে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের দাবি, সমস্ত হামলাকারীদের গ্রেফতার না করা হলে আরও বড় আন্দোলনের পথে যাবেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই কলেজ চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশবাহিনী।
ওপরের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যদিও আমরা এখনো এর সত্যতা যাচাই করে দেখছি। কল্যাণী বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মারধর, ভাঙচুরের পর ছাত্রীরা ঘর অন্ধকার করে লুকিয়ে এই ভিডিও তুলেছেন বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
কখনও কলকাতার প্রেসিডেন্সি, কখনও মালদার গণি খান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, এবার কল্যানীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একের পর এক অরাজকতার ঘটনায় রীতিমতো আক্রান্ত শিক্ষার পরিবেশ। উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কল্যাণীতে ছাত্রছাত্রীদের দাবি, পড়াশোনার পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা।