রাজ্যের বহু ছাত্রছাত্রী বাড়ি থেকে অনলাইনে লেখাপড়া করতে পারছে না। আর্থিক সমস্যার কারণে বহু শিক্ষার্থীর বাড়িতে নেই স্মার্টফোন বা টিভি। যার সংখ্যা প্রায় ২.৪২ লাখ। ১ জুন কেরালায় চালু হয় ফার্স্ট বেল অনলাইন ক্লাস। কিন্তু বিরাট সংখ্যার শিক্ষার্থী সেই অনলাইন ক্লাসে যোগদান করতে পারেনি।
অনলাইন ক্লাসকে ঘিরে এদিন কেরালায় ঘটে যায়, আরও বড় একটি দুর্ঘটনা। যা দেখে স্তম্বিত গোটা কেরালা রাজ্য। নবম শ্রেণীর এক হতদরিদ্র পড়ুয়া, স্মার্টফোন-টিভি-কম্পিউটার না থাকার কারণে সে অবসাদে ভুগতে থাকে এবং গায়ে আগুন দিয়ে দেয়।
এরপরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য। সরকার, অ্যালুমনি অ্যাসোসিয়েট, বিধায়ক, সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় নাগরিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ মারফত আলোচনা করে প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে অনলাইনে ক্লাসের সুবিধা।
এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্তে অনলাইন ক্লাস করতে না পারা শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। রাজ্যে এখন অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১.২০ লক্ষ। রাজ্যের সর্বশিক্ষা অভিযানের পরিচালক ডঃ এ পি কুট্টিকৃষ্ণান বলেছেন,“ গত দুই সপ্তাহের মধ্যে আমরা নিশ্চিত করেছি যে অনলাইন ক্লাসগুলি রাজ্যের প্রতিটি স্কুল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানো গিয়েছে।
কয়েকটি গ্রামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং অ্যালুমনি অ্যাসোসিয়েশন গুলি টিভি বা স্মার্টফোন কিনতে অর্থদান করেছে। অন্যদের মধ্যে, রাজ্যের শিল্প বিভাগ দ্বারা চালু করা “টিভি চ্যালেঞ্জ’ ’এর অংশ হিসাবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা টিভি সেট সরবরাহ করেছে।
ইতিমধ্যে সরকার বিধায়কদের স্থানীয় উন্নয়ন তহবিল ব্যবহার করে ছাত্রদের জন্য টিভি এবং ল্যাপটপ কেনার নির্দেশ দিয়েছে। সরকারের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কেরালার প্রায় সব গ্রামেই কমপক্ষে একটি সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সমস্ত কেন্দ্রে সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
“ল্যাপটপ, প্রজেক্টর এবং টিভি সেট স্কুল থেকে সাধারণ কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। অনেক বাড়িতে বাবা-মায়ের স্মার্টফোন থাকে, কিন্তু তারা তাদের কর্মস্থলে সেটি নিয়ে যায়। ফলে সন্তানরা অনলাইন ক্লাস করতে পারে না। তাদের জন্যও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ক্লাসগুলি শিক্ষামূলক চ্যানেল আইটি @ স্কুল ভিক্টরস চ্যানেলে প্রচার করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার উদ্যোগে যোগদান করেছেন কংগ্রেসের হিবি ইডেন, যিনি কোচিতে একটি "ট্যাবলেট চ্যালেঞ্জ" চালু করেছেন।
Read the full story in English