/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/09/Hindu-hostel-Cover.jpg)
প্রেসিডেন্সির হিন্দু হস্টেল। ফাইল ছবি
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু হস্টেলের দাবিতে আন্দোলন চলছিল প্রায় তিন বছর ধরেই। চলতি বছর যা বিশাল রূপ নেয়। অবস্থান বিক্ষোভের পর শেষ পর্যন্ত আমরণ অনশনের পথ বেছে নেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। তবে অনশনের ১০ দিনের মাথায় মিলল সুরাহা। বৃহস্পতিবার একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে পি ডব্লু ডি-এর তরফে জানানো হয়, ছাত্ররা রাজারহাট হস্টেল থেকে তাঁদের কিছু জিনিসপত্র এনে হিন্দু হস্টেলে রেখে দিতে পারেন। তবে কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত থাকতে দেওয়া হবে না কাউকেই।
বাংলা বিভাগের ছাত্র অর্কপল দত্ত জানান, "কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রায় সব দাবিই মেনে নিয়েছিলেন, আজকের বৈঠকে শেষ দাবিটাও মেনে নেওয়া হয়েছে। পিডব্লুডি-র তরফে জানানো হয়েছে, হস্টেলের বাকি কাজ শেষ হওয়ার আগেই মালপত্র এনে এখানে রাখতে পারি আমরা।" অর্কপল আরও বলেন, "কাল সকালে আমরা বিশ্ববদ্যালয় চত্বর থেকে হস্টেল পর্যন্ত একটি বিজয় মিছিল করে ট্রাঙ্ক, চৌকি সহ বেশ কিছু আসবাব প্রতীকী হিসেবে রেখে যাব।"
যদিও এ দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। পাশাপাশি, এদিন পিডব্লুডি-র প্রতিশ্রুতি পেয়ে অনশন তুলে নিয়েছেন ছাত্ররা। অন্যদিকে, যাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তারাও এখন সুস্থ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনের হিড়িক, হস্টেলের দাবিতে উত্তপ্ত প্রেসিডেন্সি
প্রসঙ্গত, হিন্দু হস্টেল নিয়ে চাপানউতোর চলছিল বহুদিন ধরেই। ঠিক কবে হিন্দু হস্টেল মিলবে তার কোনও সঠিক সময় বলতে পারছিলেন না কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোরকেই কার্যত হস্টেল বানিয়ে নিয়েছিলেন তাঁরা। খাওয়া, ঘুম, সবই সারছিলেন সেখানেই। এদিকে রাজ্যপাল থেকে শিক্ষামন্ত্রী, সব মহল থেকেই ক্রমাগত চাপ আসছিল ছাত্রদের হস্টেল ফিরিয়ে দেওয়ার। অবশেষে ছাত্রদের জানানো হয় আগামি ১৫ নভেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করবে পিডব্লুডি। যদিও লিখিত বিজ্ঞপ্তি না পাওয়ায় অনশন জারি রেখেছিলেন পড়ুয়ারা। শেষ পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনের চাপে ফের নতিস্বীকার করলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।