৬৫ শতাংশ হাজিরা না থাকলেও পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে, এই দাবিতে দিনভর কলকাতা জুড়ে চলল ছাত্র বিক্ষোভ। পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার হেরম্বচন্দ্র কলেজের প্রথম বর্ষের প্রায় ৪০০ জন পড়ুয়া শুক্রবার দুপুরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে গোলপার্ক চত্বরে। এ বিষয়ে হেরম্বচন্দ্র কলেজের শিক্ষিকা নবনীতা চক্রবর্তী বলেন, “প্রথম দিনেই ওরা টিচার্স রুমে ঢুকে বিক্ষোভ দেখায়। এর পরের দিন ওরা দাবি করে, যাদের উপস্থিতির হার ৬০ শতাংশ, তাদেরকেও ফর্ম ফিল আপ করতে দেবে না। এমনকী কোনও পড়ুয়াকেই ওরা পরীক্ষায় বসতে দেবে না বলে বিক্ষোভ দেখায়। কর্তৃপক্ষের তরফে আমাদের সমস্ত নিয়ম মানতে বলা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে আমরা স্টুডেন্টদের সাহায্য করিনি...।"
আরও পড়ুন; ধর্ষণ নয়, যৌনসম্পর্ক স্থাপনের পর খুন জলপাইগুড়ির কলেজছাত্রীকে
তবে পুলিশ আধিকারিকরা জানান, ছাত্র এবং পুলিশের মধ্যে খুবই সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুপুর ২টো ৪০ মিনিট থেকে বিকাল ৩টে ৫০ মিনিট পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করেছিল ছাত্ররা। এরপর শান্তিপূর্ণভাবেই উঠে চলে যায় তাঁরা। অন্যদিকে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের দাবি, তাঁরা কোনও দ্বন্দ্ব চননি, শুধু ব্যারিকেড ভাঙতে চেয়েছেন।
এদিনের ছাত্র বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপরও। উমেশচন্দ্র, গুরুদাস, সেন্ট পলস এবং সিটি কলেজের বহু পড়ুয়া এদিন বিক্ষোভ দেখান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। রীতিমতো স্লোগান, বিক্ষোভে এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এরপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মূল ফটক।
বিক্ষোভকারী ছাত্রদের একজনের দাবি, “ইউনিয়নের দাদারা বলেছিল যে যদি একটা বা দুটো ক্লাস করার পর আমরা ইউনিয়ন রুমে গিয়ে বসি তাহলে উপস্থিতির হার নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। প্রয়োজনে ওঁরাই বিষয়টিকে সমর্থন করবে। কিন্তু, এখন হঠাৎ কলেজ আমাদের পরীক্ষার ফর্ম ফিল আপ করতে দিচ্ছে না। তবে খুব কম ক্লাস করত, এমন আরও অনেককেই ৬০ শতাংশ উপস্থিতির তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। এগুলো কীভাবে সম্ভব?" এই নিয়ম তাঁদের কাছে একেবারেই স্পষ্ট নয় বলেই অভিযোগ করেছেন গুরুদাস কলেজের বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। এদিন তাঁরা স্পষ্টতই জানিয়েছেন, উপস্থিতির হারের জন্য যদি তাঁরা পরীক্ষায় বসতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে এই তালিকার কাউকেই পরীক্ষায় বসতে দেবেন না তাঁরা।
আরও পড়ুন; কলেজে তোলাবাজির অভিযোগ উঠলে তদন্ত হবেই: পার্থ চট্টোপাধ্যায়
শনিবার বেহালা কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ অভিযোগ জানায়, ৬০ শতাংশের কম উপস্থিতি রয়েছে এমন পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার টোপ দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়া হয়েছে ছাত্র সংসদের তরফে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংসদ।
Read the full story in English