বিজ্ঞানের আরেকভাগ হল, জীব বিজ্ঞান। পদার্থ এবং রসায়নের ঘেরাটোপ থেকে বেরোলে জীব বিজ্ঞানের বিভিন্ন পর্যায়ের দিকে নজর দিতে হয় পড়ুয়াদের। তথাকথিত, এই বিজ্ঞানের প্রতি পড়ুয়াদের আতঙ্ক অনেকটা কম। যদিও মনে রাখতে হয় নানান বিজ্ঞানভিত্তিক নাম, তারপরেও এই বিষয়টি সহজেই আয়ত্বে নিতে পারেন পড়ুয়ারা। কিন্তু কিভাবে সহজেই জীবন বিজ্ঞানে নম্বর পাওয়া যায়, তাঁরও কিন্তু বেশ কয়েকটা ট্রিক রয়েছে।
মানবদেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থেকে জীব বৈচিত্র্য এবং শরীরে নানা অংশের ভাগ তথা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। তাঁর সঙ্গে জীবন বিজ্ঞানে আঁকার এক বিরাট ভূমিকা থেকে যায়। কিভাবে প্রচুর নম্বর পেতে পারে পড়ুয়ারা, জানাচ্ছেন হুগলি গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা রত্না ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন কেমন আসবে বলে মনে হচ্ছে?
জীবন বিজ্ঞান তো, খুব একটা ঘুরিয়ে প্রশ্ন আসে না। অনেক সময় একটু অচেনা ছন্দে প্রশ্ন আসে তবে অজানা নয়। মাধ্যমিকের ছাত্রদের সঙ্গে খুব একটা প্রশ্ন নিয়ে ঘোরাঘুরি হয় না। ভাল করে পড়লেই পারবে। তাছাড়া ওরা আশা করছি শেষ কয়েক বছরের প্রশ্ন দেখেছে বা প্র্যাকটিস করেছে, সুতরাং এটা কোনও ব্যাপার না।
কোন কোন চ্যাপ্টার ভাল করে পড়বে?
- প্রথমত, মাধ্যমিকের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা করে সাজেশন কোনও প্রশ্নই নেই। পুরো বইটা ভাল করে পড়তে হবে। কারণ, দেখা যায় সম্পূর্ন প্রশ্নটাই ছোট প্রশ্নে ভর্তি। ২ নম্বর অথবা ৩ নম্বরএর প্রশ্নগুলো কত বেশি লিখবে? তাই অবশ্যই পুরো বইটা ভাল করে পড়তে হবে। কোনও কিছুই বাদ দেওয়া যাবে না।
- দ্বিতীয়ত, আগের বছর যে চ্যাপ্টার থেকে প্রশ্ন এসেছে সেটা বাদ দেওয়া। একদম না! এই ভুল করলে কিন্তু মুশকিল। ছোট ছোট সব প্রশ্ন, একটা যে বড় আঁকা থাকে ওতেই নম্বর সবথেকে বেশি, তাই আগের বার এসেছে বলে আর আসবে না, এটা যেন ভুল না করে।
- তৃতীয়ত, মাধ্যমিকের প্রশ্নের প্যাটার্ন বদলায় মাঝে মধ্যেই। এখন ওদের নম্বর পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সিলেবাস এমন কিছু বেশি নেই। যদি পরীক্ষায় এমন প্রশ্ন আসে যে এটা কীভাবে কাজ করে, বা এর চলন প্রক্রিয়া, তার কিছু বিজ্ঞানসম্মত নাম, এবং তাদের প্রক্রিয়া এগুলো একটু বলে দিলে ভাল।
- চতুর্থত, আঁকা প্র্যাকটিস করতে হবে। উত্তরের সাপেক্ষে আঁকা দেখে রাখা ভাল। পাশে ছোট করে এঁকে দিলে ভাল নম্বর আসে। আর বড় আঁকার মধ্যে আছে তো ৪টে আঁকা, সবকটাই দেখে যাওয়া ভাল।
পরীক্ষার হলে কী কী বিষয়ে নজর দেবে?
১. পরপর উত্তর লেখা। যখন যেটা ভাল লাগল উত্তর লিখে দিলাম এটা খুব খারাপ। আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় যায়। যেটা ভাল জানি আগে লিখে দিলাম, তারপরের উত্তরগুলো আর সম্পূর্ন নেই এটা না করলেই ভাল।
২. দুপাশে যেন লাইন থাকে একটু চওড়া করে। এতে আমাদের নম্বর দিতে সুবিধা হয়। খাতা পরিষ্কার লাগে দেখতে। এছাড়াও যেটা করবে প্রতিটা উত্তর লেখার পর অন্তত ২ আঙ্গুল গ্যাপ রাখা ভাল। এতে আমাদের মতামত লেখার জায়গা থাকে।
৩. অযথা পেনের কালি পরিবর্তন করা উচিত নয়। নীল দিয়েই লেখ। আর যদি পয়েন্ট আউট করতে হয় তবে নীল দিয়েই বুলেট করে দাও। পাশে যদি আঁকার প্রয়োজন হয় হালকা পেনসিলে আঁকো, বেশি গাঢ় পেনসিলে না।