প্রথম শ্রেণি থেকেই সংস্কৃত বাধ্যতামূলক করতে হবে। সরকারকে চাপ দিতে শুরু করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। সম্প্রতি সরকারের সঙ্গে গোপন বৈঠকে এমনই প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানতে পেরেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সূত্রের খবর, সংঘের শীর্ষ নেতা এবং অন্যান্যরা গুজরাতের শিক্ষামন্ত্রী জিতু ভাঘানি, শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে ছিলেন গুজরাত বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রত্নাকরও ছিলেন। এপ্রিলের সেই বৈঠকে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন নিয়ে আলোচনাও হয়।
সংঘ পরিচালিত ২০টি সংগঠনের দাবি হল, প্রথম শ্রেণি থেকেই বাচ্চাদের সংস্কৃত পড়ানো হোক। বিশেষ করে বিদ্যা ভারতী, শৈশিক মহাসংঘ, সংস্কৃত ভারতী, ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডল এই বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীকে এই প্রস্তাব দেয়। সংঘ আরও বলেছে, ভগবত গীতা, রামায়ণ এবং মহাভারতও যেন স্কুলের পাঠ্যক্রমে রাখা হয়। বৈদিক গণিত বাধ্যতামূলক করা হোক। শিক্ষাদীক্ষায় উপনিষদ, বেদের মাহাত্ম্য পড়ানো হোক।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-তে কোথাও বলা নেই তিনটি ভাষার মধ্যে কোনও একটি ভাষা স্কুলের পড়াশোনায় বাধ্যতামূলক করতে হবে। শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে, শিশুরা রাজ্য সরকার, অঞ্চল এবং পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে নিজের পছন্দের ভাষা বেছে নিতে পারবে। যতদিন ভারতের তিনটি ভাষার মধ্যে দুটি প্রচলিত থাকবে।
আরও পড়ুন ‘গুজরাত-ইউপি-তে ক্ষতি নেই! যত দোষ বাংলার বেলায়?’ বিজেপিকে তুলোধনা মমতার
সংঘের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেন জাতীয় শিক্ষানীতিতে সংস্কৃত নিয়ে কিছু বলা না থাকলেও কেন সেই ভাষা নিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে সরকারকে। তাতে সংঘ অনুমোদিত সংস্কৃত ভারতী সংগঠন জানিয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতিতে সংস্কৃত নিয়ে গোল গোল বলা হয়েছে। তাতে বলা নেই শিক্ষানীতি তিনটি ভাষার পক্ষে না বিপক্ষে। এর কোনও স্পষ্টতা নেই।