/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/08/maldah1.jpeg)
কলকাতার রাজপথে চলছে আন্দোলন।
শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে জট কাটছে না কিছুতেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সঙ্গেই সবার অলক্ষ্যে শুরু হয়েছিল আরও এক আন্দোলন। বৈধ সার্টিফিকেটের দাবিতে প্রতিবাদে নেমেছিলেন মালদার গনিখান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির প্রায় ৮০০ জন ছাত্রছাত্রী।
দীর্ঘ অনশন, জাতীয় সড়ক অবরোধ, এবং রেল অবরোধের পরও কোনও সমাধান না মেলায় ছাত্রছাত্রীরা শেষে শরণাপন্ন হয়েছিলেন রাজ্যপালের। গত সোমবার বৈধ সার্টিফিকেটের দাবি জানিয়ে একটি আবেদন পত্রও জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে চিঠির কোনও উত্তর আসেনি এখনও। আজ, আরেক সোমবার ঘুরে এলো, এবং কারীগরি ভবন, নবান্ন-সহ বেশ কিছু দপ্তরে চিঠি দিয়ে তাঁদের অভিযোগ জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: বৈধ সার্টিফিকেটের দাবীতে মালদার ছাত্র আন্দোলন এবার কলকাতার রাজপথে
গত সোমবার থেকে মালদা থেকে কলকাতায় এসে রাজপথে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ৪০ জন ছাত্রছাত্রী, আজ সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০-এ, তীব্রতর আকার নিচ্ছে আন্দোলন। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। এদিকে পুঁজি ফুরিয়েছে, খাওয়ার পর্যাপ্ত টাকাও নেই আন্দোলনকারীদের কাছে। তবে প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষে করে খেলেও বৈধ ডিগ্রী সার্টফিকেট না নিয়ে মালদা ফিরবেন না বলে স্পষ্টই জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্য়েই জনগণের থেকে অর্থ সংগ্রহও শুরু করেছেন তাঁরা।
চলছে তহবিল সংগ্রহমালদার GKCIET কলেজে ভর্তি হতে লাগে ১৪,০০০ টাকা, প্রতি সেমেস্টারের জন্য় দিতে হয় ৫,০০০ টাকা। এতগুলো টাকা খরচ করে ছ’বছর পড়াশোনার পর ছাত্রছাত্রীরা জানতে পারেন, সরকারি কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই গনি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির। এমনকী ছাত্রছাত্রীদের কলেজ কর্তৃক যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, তার কোনও বৈধতাই নেই। স্বাভাবিকভাবেই যা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে উচ্চশিক্ষা এবং চাকরীর ক্ষেত্রে। ইতিমধ্যেই কিছু ছাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির পরীক্ষায় পাস করেও ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের সময়ে বাদ পড়ে গিয়েছেন। কারণ সর্বত্রই ওই সার্টিফিকেট জাল বলে অভিহিত হয়েছে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us