পোস্ট এবং ছবিতে ভরে গিয়েছে সোশ্যাল সাইট, 'লড়ছে GKCIET'। মালদার গনিখান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (GKCIET) ছাত্রছাত্রীরা বৈধ সার্টিফিকেট পেতে সাহায্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল, নবান্ন, কারীগরি ভবন সহ বেশ কিছু সরকারি দপ্তরে। তবে সপ্তাহ ঘুরে গেলেও চিঠির সদুত্তর এসে পৌঁছায়নি এখনও। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষও নিরব। অভিযোগ, একাধিক হুমকী, মারধরে জেরবার মালদার GKCIET-এর আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। পাশাপাশি, ছাত্রছাত্রীরা এও দাবী করেছেন, কর্তৃপক্ষের কাছে মিলেছে ধর্ষণের হুমকীও। তবুও বৈধ সার্টিফিকেটের দাবীতে আন্দোলন চালাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। এক দল মালদায় এবং আরেকটি দল অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন কলকাতার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে রানু ছায়া মঞ্চে। চলছে প্রচার। এই দলের মধ্যে রয়েছেন একজন অনশনকারীও।
ইতিমধ্যেই, প্রায় সকলের অগোচরেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী। আন্দোলনকারী ছাত্র শাইন জাহেদি জানাচ্ছেন, পুরোনো ছাত্রছাত্রীদের কোনও দায়িত্ব নিতেই রাজি নন বর্তমান কলেজ কর্তৃপক্ষ। বরং অনশন তুলে নিতে একাধিক বার হুমকীও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে, এমনকী ভাড়াটে গুন্ডা পাঠিয়েও মারধরের অভিযোগ উঠেছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, নিজেদের দাবীতে অনড় আন্দোলনকারীরাও। তাঁরা জানিয়েছেন, ন্যায় বিচার না পেলে কোনওভাবেই অবস্থান তুলবেন না তাঁরা। তাই আন্দোলন জারি রয়েছে পথসভা, মিছিল, পথ অবরোধে।
আরও পড়ুন: তীব্রতর হচ্ছে মালদা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আন্দোলন
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন সাধারণ নাগরিকরা। চাল ডাল, বিস্কুট, মুড়ি, টাকা দিয়ে সাধ্যমত পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন বারুইপুর পলিটেকনিক কলেজ এবং কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও। আগামী সোমবার একটি গন কনভেনশনের আয়োজন করেছেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে আবারও নিজেদের দাবি তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
অনেকের মতে, ইদানীং ন্যুনতম দাবি আদায়ের জন্যও শহরে এবং রাজ্যে ছাত্রছাত্রীদের বেছে নিতে হচ্ছে আন্দোলনের পথ। একের পর এক ছাত্র আন্দোলনের জেরে কার্যত প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামো নিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরেই বৈধ সার্টিফিকেটের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মালদার GKCIET-র ছাত্রছাত্রীরা। গত সোমবার থেকে মালদা থেকে কলকাতায় এসে রাজপথে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ৪০ জন ছাত্রছাত্রী, আজ সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০-এ, তীব্রতর আকার নিচ্ছে আন্দোলন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায় নি এখনও।